আপনাকে "আমরা লেখক" এ স্বাগতম <**> এই সাইটে প্রবেশ করার জন্য ধন্যবাদ <**> আপনার পছন্দের লেখাটি পড়তে নিচের category থেকে বেছে নিন। <**> টাকা উপার্জন করার জন্য বাম পাশের কলাম দেখুন। <<****>>

Advertise your website/facebook page here! <**> only 20tk/week! <**> call 01986761741 !<**> Only for Bangladesh now! The place for add is given below! scroll down the page and find your advertise!! :-D only for 20 tk!!!

Friday 19 June 2015

সাওম পালন (হাদিস)

হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

"আল্লাহ তাআলার কসম! মুসলমানদের জন্য রমযানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য রমযান মাসের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসেনি। কেননা মুমিনগণ এ মাসে (গোটা বছরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দোষত্রুটি অন্বেষণ করে। এ মাস মুমিনের জন্য গনীমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ।"  -(মুসনাদে আহমদ, হাদীস ৮৩৬৮, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস-৮৯৬৮, সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস-১৮৮৪, তাবারানী হাদীস-৯০০৪, বাইহাকী শুয়াবুল ঈমান, হাদীস-৩৩৩৫)

হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
إذا جاء رمضان فتحت أبواب الجنة، وغلقت أبواب النار، وصفدت الشياطين.

"যখন রমযান মাসের আগমন ঘটে, তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।"   -(সহীহ বুখারী, হাদীস-১৮৯৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস-১০৭৯ (১), মুসনাদে আহমদ হাদীস-৮৬৮৪, সুনানে দারেমী, হাদীস-১৭৭৫)


হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,  
 "রোযা এবং কুরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোযা বলবে, আমি তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও প্রবৃত্তির চাহিদা মেটানো থেকে বিরত রেখেছি। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। কুরআন বলবে, আমি তাকে রাতে ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। সুতরাং আমার সুপারিশ কবুল করুন। তখন দু’জনের সুপারিশই গ্রহণ করা হবে।"  -(মুসনাদে আহমদ হাদীস : ৬৫৮৯; তবারানী, মাজমাউয যাওয়াইদ ৩/৪১৯)


হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন,
من افطر يوما من رمضان متعمدا من غير سفر ولا مرض لم يقضه ابدا، وان صام الدهر كله، … وقد ذكره البخاري تعليقا بصيغة الجزم حيث قال : وبه قال ابن مسعود، وقال الشيخ محمد عوامه : وهذا الحديث موقوف لفظا ومرفوع حكما

"যে ব্যক্তি অসুস্থতা ও সফর ব্যতীত ইচ্ছাকৃতভাবে রমযানের একটি রোযাও ভঙ্গ করে, সে আজীবন রোযা রাখলেও ঐ রোযার হক আদায় হবে না।" -(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৯৮৯৩; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস : ৭৪৭৬; সহীহ বুখারী ৪/১৬০)


হযরত আলী রা. বলেন-
من افطر يوما من رضمان متعمدا لم يقضه أبدا طول الدهر.

"যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে রমযান মাসের একটি রোযা ভঙ্গ করবে, সে আজীবন সেই রোযার (ক্ষতিপূরণ) আদায় করতে পারবে না।"  - (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৯৮৭৮)

রোযার হালতে গীবত করলে, গালি-গালাজ করলে, টিভি-সিনেমা ইত্যাদি দেখলে, গান-বাদ্য শ্রবণ করলে এবং যে কোনো বড় ধরনের গুনাহে লিপ্ত হলে রোযা মাকরূহ হয়ে যায়। আর এ কাজগুলো যে সর্বাবস্থায় হারাম তা তো বলাই বাহুল্য।
হাদীসে কুদসীতে আছে, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- اذا كان يوم صوم احدكم فلا يرفث ولا يصخب
"তোমাদের কেউ যখন রোযা রাখে তখন সে যেন অশালীন কথাবার্তা না বলে ও হৈ চৈ না করে।"  -(সহীহ বুখারী হাদীস : ১৯০৪;)

আসুন, আমরা নিচের ভিডিও টি দেখি এবং ভিডিও টি পুরো বিশ্ব কে ছড়িয়ে দিয়ে বিশ্বের মুসলিম ভাই দের কে রোজা রাখায় উৎসাহিত করি এবং অমুসলিম ভাইদের কে মুসলিম হতে আবেদন করি।


By : Sheikh Fahim Faysal
Facebook: Fahim Faysal Sowrav



Tuesday 16 June 2015

মনের মালিকানা


-এখন ও ঘুমাচ্ছ তুমি? তারাতারি ঘুম থেকে উঠে পড়। নাহলে কিন্তু বউ এর ঝাড়ি শুনতে হবে।
এপাশ থেকে এই ধরনের উপদেশ দিয়ে ফোনটা কেটে দিল।
.
আজ কয়েকদিন কায়েসের ফোনে এই ধরনের ফোন আসছে।ঘুম থেকে না উঠলে আবার কিছুক্ষন পরে ফোন দিয়ে বলছে
-তুমি এখন ই উঠবে। এত আলসামি ভাল না।
.
চাকরি না পেয়ে আর পকেটে টাকা না থাকায় কায়েস কিছুদিন দুশ্চিন্তায় ভুগছে। সারারাত ঘুমাতে না পেরে সকালে ঘুমাচ্ছে। কিন্তু এই মেয়েটা ফোন দিয়ে কায়েসের ঘুমের বারোটা বাজাচ্ছে।
মেজাজ খারাপ হলেও কিছু বলতে পারছে না।মাঝে মাঝে ফোন বন্ধ করে রাখছে কিন্তু তাতেও কোন লাভ হচ্ছে না।
কায়েস হোটেলে বসে খাবার খাচ্ছিল। হঠাৎ তার ফোনে ১০০০ টাকা আসলো।কায়েসের এই সময় টাকার দরকার ছিল। তাই কে পাঠিয়েছে সেটা দেখার দরকার নেই।
.
প্রতিদিনের মত আজও কায়েসের ফোনে ফোন আসলো। কায়েস আগে থেকেই ঘুম থেকে উঠেছে। তাই ফোন ধরে কায়েস বলল
-হ্যালো কে আপনি?
-সেটা কি জানা খুব দরকার?
-আপনি আমাকে এত জালাচ্ছেন কেন?আমি বেকার একজন মানুষ। চাকরি পাচ্ছি না।বড় কষ্টে আছি। দয়া করে আমাকে মুক্তি দিন।
-তোমার কষ্টগুলোর ভাগ আমাকে দাও।
-কালকে আপনি কি আমার নাম্বারে টাকা পাঠিয়েছেন?
-কোই নাতো?
-আমি জানি আপনি পাঠিয়েছেন। আমি আপনার টাকা পাঠিয়ে দেব।
-তোমাকে কি টাকা দিতে বলেছি? শুধু আমাকে ভালবাসলেই হবে।
-আপনি কি টাকা দেখিয়ে ভালবাসতে বলছেন?
-সেটা বলছি না।
-শোনেন আমি অনেক মানসিক অশান্তির মধ্যে আছি।যখন তখন ফোন দিয়ে আমাকে জালাবেন না।
-তুমি বিরক্ত হও?
-হ্যা। হই। আর আমাকে ফোন দিবেন না।
-রেগে যাচ্ছ কেন?
-রেগে যাব না তো কি? আমাকে রেহাই দিন।
কায়েস সস্তির নিশ্বাস ফেলল। কায়েস তার সবকিছু মেয়েটিকে বলেছে। কিন্তু মেয়েটি শুধু তার নাম বলেছে। মেয়েটির নাম অবনি।
.
আজকে আর মেয়েটি ফোন করে নি। ফোন না আশায় কায়েস শান্তিতে ঘুমাচ্ছে। শান্তিতে ঘুমালেও কোন একটা জিনিস কে মিস করছে। ঘুম থেকে উঠে আজ মোবাইল হাতে নিয়ে মেয়েটির মেসেজ অথবা ফোন এসেছে নাকি খুজছে।
.
দুপুর হয়ে গেছে তবুও কায়েসের খেতে ইচ্ছে করছে না। কিছুই ভাল লাগছে না। বাধ্য হয়ে কায়েস মেয়েটির নাম্বারে কল দিল। অনেকবার চেষ্টা করার পরেও ফোন ধরছে না।
.
অনেক্ষন পরে একজন ফোন ধরে বলল
-কে?
-আমি কায়েস।
-ও। তুমি কায়েস!!! তুমি কোথায়?
-আমি কোথায় সেটা বলছি। আন্টি অবনি কে দেন।
-.....
-কি হল কাঁদছেন কেন?
-অবনি হাসপাতালে
-কি বলছেন?কি হয়েছে?
-অবনি হাসপাতালে। খুব খারাপ অবস্থা।
-কি হয়েছে।
-অবনি অনেকদিন ধরে অসুস্থ। ঔষধ খাওয়ার পরে কিছুটা সুস্থ হয়েছিল। কিন্তু কাল থেকে ঔষধ না খাওয়ায় আবার অসুখ বেড়ে গেছে।
-কিন্তু আপনারা আমার সম্পর্কে জানলেন কিভাবে?




 -অবনির একটা কাল্পনিক জগত আছে। আর সেখানে আবনি তার কল্পনা নিয়ে থাকে। কল্পনা আর বস্তব মিলিয়ে তার জিবন। অবনির সাথে কেউ খারাপ ব্যাবহার করলে অবনি সেটা মানতে পারে না।
-এখন কোন হাসপাতালে আছে?
-স্কয়ার হাসপাতাল।
-আচ্ছা আমি আসছি।




ফোন কেটে দিয়ে কায়েস টাকা খুঁজতে থাকলো। অনেক খোঁজার পরে টাকা না পেয়ে অবনির দেয়া টাকার কথা মনে পরলো।
.
অবনির দেওয়া টাকাগুলো নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা দিল। গাড়িতে বসে কায়েসের শরির ঘামছে। সে কি করেছে? অবনির অবস্থার জন্য কায়েস নিজেকেই দায়ি মনে হচ্ছে।
.
অনেক্ষন পরে কায়েস স্কয়ার হাসপাতালে পৌছাল। কিন্তু কায়েস অবনির বাবা মা কাউকেই চেনে না। তাই আবার কায়েস ফোন করে জেনে নিল কোথায় আছে?
.
একটু আগে অবনির জ্ঞ্যান ফিরেছে। অবনির বাবা মা তার পাশে বসে আছে। কায়েস রুমের ভেতরে ঢুকে অবনির চেয়ে দুরে দাড়িয়ে আছে।
.
অবনির বাবা কায়েসকে ডাকলো। কায়েস অবনির পাশে গিয়ে বসলো। অবনি কায়েসের দিকে তাকিয়ে আছে। অবনির বাবা বলল
-ওকে চিনতে পারছিস না মা?
-কে?
-কায়েস।

.
কায়েস বলল
-আমার সাথে কথা বলবে না?
-.......
-আমার প্রতিদিন ঘুম ভাঙানোর দায়িত্ব নিবে?
-কেন?
-কারন আমি ঘুম থেকে উঠতে দেরি করি।আমার বউ হয়ে প্রতিদিন আমার ঘুম ভাঙাবে?
-আমি তো সেটাই চাই।
-কিন্তু আমার মত চালচুলোহিন ছেলের বউ হয়ে কি করবে?দুশ্চিন্তায় এমনিতেই ঘুম ভাঙে না। তাহলে কিভাবে ঘুম ভাঙাবে?
-তুমি নাহয় হয় আমাকে জড়িয়ে ঘুমাবে আর তোমার দুঃখগুলো আমায় দিবে।
-তাহলে তোমাকে নিয়ে ভালই থাকবো।
.
অবনি তার বাবাকে বলল
-আচ্ছা বাবা। তুমি তো বলেছিলে আমি যদি কোনদিন কিছু চাই তাহলে দিবে।
-হ্যা বল মা দেব।
-আমি যদি তোমার সব সম্পদ চাই দেবে তো?
-হ্যা। সব তো তোরই।
-তাহলে আমি আমার কোম্পানিতে আমার স্বামিকে চাকরি দেব। তুমি দেবে চাকরি?
-তাহলে তো তোর স্বামিকে আগে তোর মালিকানা নিতে হবে।
.
কায়েস বলল
-তাহলে আগে আমি আপনার মেয়ের মনের মালিকানা চাই। আর যেটা সারাজিবনের জন্য চাই।......




.
By :পাবনার তাঁরছেড়া বালক
Facebook : পাবনার তাঁরছেড়া বালক
 


Wednesday 10 June 2015

অপরিচিত সেই মেয়েটি!


অভি পুরান ঢাকার একটি বাড়িতে ভাড়ায়
থাকে। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ
জেলার বাজিতপুর উপজেলায়। সে ঢাকার
একটি প্রাইভেট কলেজে পড়ালেখা করে।
অভির বাসার সিড়ি দিয়ে নামার পরে দুই -
একটা সরু গলি পার হয়ে মেইন রাস্তায়
আসতে হয়।
এইসব সরু গলি আর চিপা-চাপা রাস্তা হল
পুরান ঢাকার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।
প্রতিদিনের মত অভি আজ ও তাড়াতাড়ি
করে সিড়ি দিয়ে নামছিলো। যদিও অভির
কলেজের এখনো অনেক দেরী, তবুও সে
সিড়ি দিয়ে তাড়াতাড়ি নামতেই ভালোবাসে।
যেই সিড়ি থেকে নামল এমনি অভি দেখতে
পেল যে গলির শেষ মাথায় আজ একটা মেয়ে
দাড়িয়ে আছে। অভি এমনিতেই খুব লাজুক
স্বভাবের ছেলে। সামনে একটা মেয়েকে দেখে
কি করবে কিছুই বুঝতে পারছিল না। অনেক
কষ্ঠে ঐ মেয়েকে পাশ কাটিয়ে সামনের দিকে
এগুলো। গলির এই মাথা থেকে ঐ মাথা
পর্যন্ত যেতেই তার কাপড় চোপড় সব
ভিজে গেল ঘামে। আরেকটু সামনে এগিয়ে
যখন অভি পিছনের তাকাল- তখন ঐ মেয়েটি
তাকে এমন করে মুখে একটা ভ্যাংচি কাটল
যে তা দেখে অভির মাথা ঘুড়ে পড়ে যাবার দশা
হল।
পরের দিন আবারো অভি সেই মেয়েটির
খপ্পরে পড়ল। তবে আজ সে মেয়েটিকে
একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করল। বয়স মনে
হল ১৬-১৭ হবে। উচ্চতা ৫ ফিট ২ ইঞ্চির
মত হবে। মেয়েটি দেখতে অনেক চিকন তাই
আরো বেশি লম্বা মনে হয়। গায়ের রং কিছুটা
কালচে ধরনের। তবে সবচেয়ে বড় কথা হল-
মেয়েটার মুখটা এত বেশি মায়াবী যে একবার
দেখলে যে কেউ প্রেমে পড়ে যাবে। মোটকথা,
মেয়েটি কালচে বর্ণের হলে সবকিছু মিলিয়ে
ওর মত মেয়ে খুজে পাওয়া অনেক কঠিন
ব্যাপার।
অভি সামনে এগুতেই মেয়েটি আজ ও তাকে
ভ্যাংচি কাটল। তবে আজ অভির সামনা
সামনি ই ভ্যাংচি কাটল।
অভি ঐদিন ও কিছু না বলে কলেজে চলে
গেল।
কলেজ থেকে ফিরে সে এলাকার একটা ছোট
বোনকে পাটাল ঐ মেয়ের বাসার, বাসায় কে
কে আছে, ঐ মেয়ে কি করে, এসব কিছুর
খোজঁ নিতে।
দুই একদিন পরে অভি জানতে পারল যে- ঐ
মেয়েটির নাম তমা। নতুন ভাড়াটিয়া ওরা।
আর মেয়েটির পরিবারে শুধু তার বাবা আর মা
আছে। গত বছর খালা বাড়িতে যাওয়ার সময়
রোড এক্সিডেন্টে মেয়েটার ভাই আর ছোট
একটা বোন মারা গেছে। ভাই আর বোনকে
হারিয়ে মেয়েটি কিছুটা মানসিক
প্রতিবন্ধীদের মত হয়ে গেছে। যখন যা মন
চায় তাই করে। অনেক সময় অপরিচিত
মানুষের সাথেও পরিচিতদের মত ব্যাবহার
করে। এইবার অভি বুঝতে পারল ঐ মেয়ের
ভ্যাংচি কাটার আসল কারন।
ঐ মেয়েটিকে প্রতিবন্ধু ভেবে অভি সেই
চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিল। পরের দিন অভি
আবারো সেই পরিচিত ভ্যাংচির সম্মুখীন
হল। অভি এইবার ভাবল- নাহ! এইভাবে আর
চলতে পারে না। তাই অভি মেয়েটির দিকে
এগিয়ে গেল। অভিকে এগুতে দেখে মেয়েটি
ভয়ে একদম কাঠ হয়ে গেল। এই যে ভ্যাংচি
রানী, আমাকে ভ্যাংচি না কাটলে হয় না।
(অভি)
মেয়েটি নিরুত্তরভাবে অভির মুখের দিক
তাকিয়ে রইল। এইবার অভি একটু ধমকের
সুরেই বলল- কি হল? কথা কানে যাচ্ছে না
নাকি??
অভির ধমক খেয়ে মেয়েটি এইবার কান্না শুরু
করল।
আরেহ, এতো দেখছি বাচ্ছা মেয়ের মত
কান্না শুরু করে দিল। অভি বলল- আমি
কান্না করার মত কি বললাম। আরো কি যেন
বলতে চাচ্ছিল অভি। কিন্তু এর আগেই
মেয়েটি দৌড়ে চলে গেল।
সেদিন আর অভির কলেজে যাওয়া হল না।
বাসায় ফিরে এসে ভাবতে লাগল- নাহ!
মেয়েটিকে এভাবে ধমকানো ঠিক হয় নি।
একটা অসুস্থ মেয়েকে এভাবে না ধমকালেও
চলত। এসব কিছু ভাবার সাথে সাথেই সে
মেয়েটিকে স্যরি বলার জন্য তমার বাসায়
চলে গেল। বাসায় গিয়ে দেখল তমার মা বসে
আছে। সে সালাম দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করল।
কিভাবে তমার কথা বলবে অভি কিছুই বুঝতে
পারছিল না।
>তবুও সে বলল- আন্টি তমা কোথায়??
> তমা কে তুমি চিনো কি করে বাবা? অভি
তমার মাকে সবকিছু খুলে বলল। সব শুনার
পরে তমার মাও কিছুটা কান্নার সুরে বলল-
জানো বাবা, এই গত এক বছরে এই
প্রথমবারের মত আমার মেয়েটিকে কান্না
করতে দেখেছি আজ। ওর ভাইবোন মারা
যাবার পর থেকে তো ও কান্না করা একদম
ভুলেই গিয়েছিল। আজ যখন দেখলাম তমা
কান্না করতে করতে বাসায় ঢুকল তখন আমি
দুনিয়ার সবার থেকে বেশি খুশি হয়েছিলাম।
কারন - আমার মেয়ে আস্তে আস্তে
স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে। এইকথা
বলে তমার মা অভিকে তমার রুমে নিয়ে গেল।
অভি রুমে ঢুকেই দেখল তমা এখনো কাদঁছে।
>তমা, দেখ কে এসেছে??
তমার মায়ের ডাকে সে চোখ তুলে তাকালো।
কেদেঁ চোখদুটো একদম লাল টকটকে
বানিয়ে ফেলেছে।
তমাকে উঠতে দেখেই তমার মা অভির জন্য
চা আনতে রুম থেকে বেড়িয়ে গেল।
>আমি আসলে বুঝতে পারিনি তুমি আমার
ধমকে এতটা কষ্ট পাবে। তোমাকে কষ্ট
দেওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার ছিল না।
(অভি)
> আমি কারো কথাতেই কোনো কষ্ট
পেতাম না। কিন্তু তুমি যখন আমায় ধমকালে
তখন মনে হল আমার আপন কেউ আমাকে
ধমকাচ্ছে। (তমা)
এইকথা বলেই তমা আরো জোরে কাদাঁ শুরু
করল। তমাকে স্বান্তনা দেওয়ার জন্যে
নিজের অজান্তেই অভি তমাকে জরিয়ে
ধরল। অভির স্পর্শ পেয়ে তমাও অভির বুকে
মাথা রেখে একদম অভির সাথে মিশে গেল।
ঐদিন তমার কান্না থামিয়ে বাসায় ফেরার পর
অভি তমাকে নিয়ে নতুন
করে ভাবতে শুরু করল। অভির চিন্তা-
ধারাগুলি এই রকম ছিল- হোক না তমা
মানসিক ভাবে অসুস্থ, তাতে তো দোষের
কিছু নেই। বরং অভির ভালোবাসার দ্বারা
যদি তমাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা
যায় সেটাই হবে অভির জীবনের সব থেকে বড়
পাওয়া। তাই অভি ভাবল - তমাকেই সে সারা
জীবন আগলে রাখবে।
.
২ বছর পরে....
তমা আজ সম্পুর্ন সুস্থ একমাত্র অভির
কারনে। আজ বিকালে তমাকে নিয়ে অভির
ঘুরতে বেরুনোর কথা। যখন দেখল যে- তমা
একটা নীল শাড়ি পড়ে তার দিকে এগিয়ে
আসছে তখন অভি তমাকে দেখে বিমোহিত
হয়ে গেল। মনে মনে সে বিধাতাকে ধন্যবাদ
জানাল তমাকে তার জীবনে এনে দেয়ার
জন্য।
নাহ! অভি জীবন সঙ্গীনি নির্বাচন করতে
একদম ভুল করে নি। তমার মত মেয়েকে
জীবনসঙ্গী হিসাবে পেয়ে আজ অভির
নিজেরই নিজের প্রতি গর্ববোধ হয়।



By: Bipul Hasan





 
আমরা লেখক -G_Fahim- | Give your writings to this page. This is our official facebook page

Monday 1 June 2015

ইতিহাসঃ রুবিকের ঘনক (with solve video)

১৯৭৪ সালে হাঙ্গেরীয় ভাস্কর ও স্থাপত্যের অধ্যাপক "এর্নো রুবিক" এটি উদ্ভাবন করেন। রুবিক নিজে এর নাম দিয়েছিলেন ‘ম্যাজিক কিউব’, কিন্তু পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে ‘আইডিয়াল টয়েজ’ নামের এক খেলনা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এর নাম দেয় ‘রুবিক্স কিউব’ অর্থাৎ ‘রুবিকের ঘনক’।
রুবিকস কিউব নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, এটা একটা কিউব বা ঘনক। রুবিকস কিউবে ৬টি তল থাকে এবং প্রতিটি তল ভিন্ন ভিন্ন রং করা থাকে। কিউবটিকে বিভিন্নভাবে ঘুরানো যায়। এভাবে ঘুরিয়ে রুবিকস কিউবকে বিভিন্ন রকম অবস্থা বা কনফিগারেশনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
রুবিকস কিউবের বিভিন্ন রকম সংষ্করণ আছে, তার মধ্যে ২x২x২ মাত্রার ‘পকেট কিউব’, ৪x৪x৪ মাত্রার ‘রুবিক্স রিভেঞ্জ’ এবং ৫x৫x৫ মাত্রার ‘প্রফেসর্স কিউব’ উল্লেখযোগ্য।

সমাধানকৃত অবস্থায় রুবিক্স কিউবের একটি তলে সবগুলো ব্লক একই রঙের হয়। ঘনকের ৬টি তলের একেকটিতে একেক ধরনের রঙ থাকে। একটি রুবিকস কিউবের বিভিন্ন তলকে ইচ্ছামত ঘুরিয়ে এলোমেলো করা যায়। তবে এলোমেলো করার পর একই রঙের সবগুলো ব্লককে একপাশে আনতে পারলে সমাধান করা সম্ভব হয়। এরকম এলোমেলো অবস্থা থেকে সমাধান করতে পারলেই কেবল ধাঁধাটি মেলানো যায়। সব মিলিয়ে, রুবিকস কিউব অসাধারণ একটা ধাঁধা বা পাজল। একটা আসল কিউবের দাম প্রায় ১৩.৯৯ ডলার। তবে চাইনিজ কিউব ১০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়।

রুবিকস কিউব হাতে নিয়ে দেখলে বা মেলানোর চেষ্টা করলে বোঝা যায় যে এটা মেলাতে কতটা বুদ্ধি লাগে। রুবিকস কিউব দ্রুত সমাধানকে বলা হয় স্পিডকিউবিং। স্পিডকিউবিং এর প্রথম প্রতিযোগিতা হয় ১৯৮১ সালে মিউনিখে। তবে, অফিসিয়াল ওয়ার্ল্ড কিউবিং কম্পিটিশন শুরু হয় ১৯৮২ সালে।
‘ওয়ার্ল্ড কিউ এসোসিয়েশন’-এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে দ্রুত সমাধানের রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার ‘ফেলিকস জেমদেগজ’ এর দখলে। তিনি ২০১১ সালে মেলবর্ন উইন্টার ওপেনে মাত্র ৫.৬৬ সেকেন্ডে সমাধান করেন! কিন্তু ২০১৩ সালেই তার রেকর্ড ভেঙে ফেলে হল্যান্ডের বালক ‘ম্যাটস ভ্যাক’। যে কিনা কিউব মিলিয়েছে মাত্র ৫.৫৫ সেকেন্ডে! বাংলাদেশে আশির দশক থেকে এই কিউব নিয়ে কাজ শুরু হলেও ২০১১ সালে প্রথম গনিত অলিম্পিয়াডে এই কিউব মেলানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়। তারপর আর থেমে থাকা হয়নি।

এখন প্রতি বছর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান মেলা ও গনিত অলিম্পিয়াডগুলোতে নিয়মিতভাবে কিউবিং এর প্রতিযোগিতা হয়। এছাড়াও ফেসবুকে একটি গ্রুপ আছে যার নাম ‘কিউবিস্ট বিডি’। বাংলাদেশের অনেক কিউবারদের পরিচিতি, রেকর্ড ও কম সময়ে কিউব মেলানোর নানা পদ্ধতি নিয়ে এখানে আলোচনা হয়। তারাই বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘রুবিক’স কিউব কর্মশালা’ আয়োজন করেছে।
সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিতে ও সম্পূর্ণ বাংলায় ইউটিউব এ এর ভিডিও রয়েছে G Fahim চ্যানেল এ। ভিডিও গুলো নিচে যোগ করা হলো। নতুনরা শেখার জন্য ও যারা পারে তারা আরও দ্রুত করার জন্য ভিডিও গুলো দেখলে উপকৃত হবে আশা করা যায়। চলুন ভিডিও গুলো একবার দেখে নেইঃ
 Part 1 :

Part 2:

 

Part 3:


Part 4:





part 5 :

 














part 6:
















Part 7:
















BY : Habiba Sultana



Ad your website! Only 20tk/month!

Ad your website! Only 20tk/month!
Only 20tk/month. Call: +8801986761741

please comment about the blog

Please subcribe us on Youtube! Just click on youtube below :

Ad your website!! only 20tk/month!!

Ad your website!! only 20tk/month!!
only 20tk/month. call +8801986761741

Go to আমরা লেখক on Facebook

Go to our our other pages

Moja মজা -G_Fahim- | Promote Your Page Too


Android Tips and Tricks -G_Fahim- | Promote Your Page Too

Ad your page here! Only 20tk/month!!

Ad your page here! Only 20tk/month!!
Only 20tk/month!! Call +8801986761741