শহর থেকে অনেক দিন পর গ্ৰামে যাচ্ছি।তাই ভাবলাম আমার শহরের বন্ধদের গ্ৰামে নিয়ে যাব।বাবাকে বললাম বাবা আমার বন্ধরাও আমার গ্ৰামের বাড়িতে যাবে।কারণ আমারা আজ থেকে ছয় বছর আগে গ্ৰাম ছেড়ে শহরে এসেছি।কিন্তু বাবা গ্ৰামের বাড়ি,জায়গা কিছুই বিক্রি করননি।বাবা দুই,তিন মাস পর গিয়ে দেখে এসেছে।আমি আর আমার মা এইবার যাব।আমি গ্ৰাম থেকে শহরে আসার পর আমার দুই বন্ধ বারবার বলেছে যখন গ্ৰামে যাবি আমাদের নিয়ে যাবি।তাই ওদের নিয়ে যাওয়া।ওদের একজনের নাম রনি আর অন্যজন হল রাকিব।আমারা শহর থেকে গ্ৰামে যখন যাচ্ছি।যাওয়ার সময় আমি কিছুই চিনতে পারলাম না।মনে হচ্ছে আমি অচেনা জায়গায় যাচ্ছি।তার পর আমরা আমাদের বাড়িতে গেলাম।রনি ও রাকিব ওরা দুজন খুব খুশি।এরপর আমি রনি ও রাকিব ঘুরতে বের হলাম।আমি গ্ৰামের কিছু চিনতেই পারলাম না।তার পর আমরা বাড়িতে ফিরে এলাম।পরদিন আমরা ঘুরতে বের হলাম।দেখলাম একটি কদম গাছ।মনে পরল সেই আগের ঘটনা।এই কদম গাছের নিচে আমরা ছোট বেলায় অনেক খেলা করেছি।তখন মনে পরল ছোট বেলার বন্ধদের কথা।ছোট বেলায় আমরা এই কদম গাছের নিচে অনেক মজা করেছি।হঠাৎ রনি আমাকে বলল তুই এখানে দাড়ালি কেন।আমি বললাম এই সেই কদম গাছ।যেখানে আমি আমার অতীত পার করেছি।এই কদম গাছের নিচে আমরা অনেক সময় অতিবাহিত করেছি।যার জন্য বাবা আমাকে বকা দিতেন।খুজলাম আগের বন্ধ রাহিমকে কিন্তু কিছুতেই তাকে খুজে পেলাম না।তারপর খুজলাম অনিলকে।খোঁজ পেলাম অনিলের।কিন্তু অনিলেরাও গ্ৰামে থাকে না।কোন জায়গায় গেছে কেউই বলতে পারল না।তারপর আর কয়েক বন্ধ কে খুজলাম কিন্তু কোনও এক কারনে কারও খোঁজ পেলাম না।কয়েক দিন কাটল এভাবে।তারপর আমরা যেদিন আসব সেদিন দেখা শেষবার ঘুরতে গেলাম দেখলাম একটা মেয়েকে।সে তার বাচ্চাকে নিয়ে আছে।বললাম তুমি কি ফারজানা ও বলল আপনি কে।আপনাকে আমি চিনিনা অথচ আপনি আমার নাম জানেন।আমি বললাম আমি রাহুল ।ও তখন বলল তুমি ।তখন শুনলাম ওর বিয়ে হয়েছে।তখন ওর থেকে সব কিছু শুনলাম । তখন আমার যাওয়ার সময় হয়েছিল ।তখন আসতে মন বলছে আরও থেকে যায়।কিন্তু বাধ্য যেতে হচ্ছে।যাওয়ার আগে দেখলাম সেই কদম গাছকে আরেক বার।
লেখক:Rafiul islam prince
ফেসবুক নাম: Exceptional Prince
ফেসবুক নাম: Exceptional Prince