আপনাকে "আমরা লেখক" এ স্বাগতম <**> এই সাইটে প্রবেশ করার জন্য ধন্যবাদ <**> আপনার পছন্দের লেখাটি পড়তে নিচের category থেকে বেছে নিন। <**> টাকা উপার্জন করার জন্য বাম পাশের কলাম দেখুন। <<****>>

Advertise your website/facebook page here! <**> only 20tk/week! <**> call 01986761741 !<**> Only for Bangladesh now! The place for add is given below! scroll down the page and find your advertise!! :-D only for 20 tk!!!

Saturday 30 May 2015

সৌহার্দ্যতার ছোঁয়া

রিকশা দিয়ে যাচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম ঢাকা শহরে কি বেশি,,,, মানুষ না যানবাহন। ৩০ মিনিটের পথ ১ ঘন্টা ধরে বসে থেকেও পৌছাতে পারছি না। আর এমন এক জায়গায় আটকে আছি যে ইচ্ছা থাকা স্বত্তেও নেমে হাটতে পারছি না। পার হবার মত অবস্হাও নেই।
হঠাৎ করেই একটু একটু করে চলতে শুরু করলো রিকশা,,, কিছু দুর গিয়ে আবার দাড়িয়ে পড়ল। এবার আর বসে না থেকে হাটতে শুরু করলাম। হাটলে আর ১০ মিনিটেই পৌছে যাবো কলেজে।
হাটতে হাটতে হঠাৎ করেই চোখে পড়লো রাস্তার ধারে বসা ছোট ছোট দু'টো বাচ্চার দিকে। একটা ছেলে (মনে হয় ৮ কি ৯ বছর হবে) পাশে বসা মেয়েটি (যার বয়স হবে ৫ কি ৬) কে হাতে তুলে খাইয়ে দিচ্ছে আর গল্প করছে।
দেখে আমার খুব ভালো লাগলো,,,,,, কি বলছে
তা শুনার জন্য ওদের কাছে গিয়ে বসলাম। আমাকে বসতে দেখে ওরা খুব অবাক হলো। ওদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে জানতে চাইলাম, " কি গল্প কর দুজন মিলে?? "
ছেলেটা পাল্টা হেসে উত্তর দিলো, " আর বইলেন না আফা, পত্যেক দিন গপ্প না কইলে এই মাইয়া খায়ই না। "
তখন মেয়েটা ফিক করে হেসে উঠে বলে উঠলো, "কি করুম কও,তোমার গফগুলি এত্ত মজা লাগে যে অইডি না শুইনা খাইয়া মজাই পাইনা। "
আমি জোরে হেসে উঠে বলে উঠলাম," কি নাম তোমাদের ? "
ছেলেটি বলে উঠলো, "আমার নাম রজব আর অয় আমার বইন পরী। "
আমি বল্লাম, "বাহ, কি সুন্দর নাম, পরী। কে রেখেছে এই নাম ? "
পরী হেসে উঠে বলে, " আমাগো মায় রাখছে। "
জানতে চাইলাম, " মা কোথায় ? দেখি না যে ? "
একথা শুনে পরী মন খারাপ করে বলে উঠে," হেয় তো আমাগেরে ছাইড়া দুরে গেছে গা আর আইতে পারবো না। "

আর রজব বলল," পরীর জন্মের সময় মায় মইরা গেছে আফা। "
জানতে চাইলাম , " তোমাদের বাবা কোথায় ? "
রজব উত্তর দিল, "হেয় তো আরো আগেই আমাগোরে রাইখা ভাগছে। "
একথা শুনে আমার মনটাই ভারী হয়ে গেল। এবার জানতে চাইলাম, "তোমরা থাকো কার সাথে ? "
এবার হেসে উঠে রজব বরল, " কি যে কন আফা কার লগে থাকুম, আমরা দু'জনেই থাকি। "
এমন সময় রাস্তায় হঠাৎ লালবাতি জ্বলে উঠলো আর পুরো রাস্তা যানবাহনে ভরে গেলো। তখুনি রজব পাশে পড়ে থাকা একটি কাপড় তুলে নিয়ে উঠে দাড়ালো আর বলল, "আফা আফনে এট্টু পরীর লগে বহেন আমি আইতাছি। " একথা বলে গাড়ীগুলোর দিকে এগিয়ে গেল আর চিৎকার করতে লাগলো, " গাড়ী মোছা ১০ টাকা, ১০ টাকা। "
এবার আমি পরীকে বললাম, "তোমরা স্কুলে যাও?? "
পরী বলল, "হ যাই। না গেলে কি আর শান্তি আছে? ভাইজান তো সারাদিন খালি পড়ার কথাই কইতে থাকে। "
" কয়, আমারে নাকি ডাক্তর বানাইবো। যত কষ্টই করা লাগুক আমারে ডাক্তর না বানাইয়া বলে তার শান্তি নাই। "
আমি আবার জানতে চাইলাম, "তোমার ভাল লাগে পড়তে?"
পরী বললো, "অত ভাল লাগে না, কিন্তু কি করুম ভাইজানের লাগি পড়তে হয়। "
কথা বলতে বলতে রজব এসে পড়লো, আবার পরীকে খাওয়াতে শুরু করলো। এবার ওর কাছে জানতে চাইলাম, " তোমার স্কুলে যেতে ইচ্ছা করে না? "
রজব বললো," ইচ্ছা করলে কি হইবো কন আফা মা বাপ থাকলে হয়তো পড়তে পারতাম।কিন্তু এহন তো পরীর দেখ ভাল করাতে হয়। এহন ওরে পড়াইতে পারলেই হইলো। "
" ওরে আমি ডাক্তর বানামুই বানামু। "
একথা শুনে আমি চিন্তা করতে লাগলাম, যেখানে সভ্য শিক্ষিত সমাজের মানুষেরা সামান্য আর্থিক লোভের জন্য ভাই ভাইকে,,,, সন্তান পিতাকে মেরে ফেলছে, সেখানে রজবের মত সহায়সম্বলহীন এক ছোট্ট বড় ভাই কিভাবে পারে এমন কঠিন কিন্তু আন্তরিক স্বপ্ন দেখতে??
আজকালের সমাজে আমাদের এমন নিঃস্বার্থ বড় ভাইয়েরই বুঝি বেশি দরকার। যে নিজেকে ভুলে পরিবারের জন্য বেঁচে থাকবে।
মনে মনে প্রার্থণা করলাম, " হে সৃস্টিকর্তা, তুমি এই নিষ্পাপ শিশুর নিষ্পাপ আশা টুকু পূর্ণ করে দিও। আমীন। "




By: তাহমিনা জাহান
Facebook: Tahmina Jahan





আমরা লেখক -G_Fahim- | Give your writings to this page. This is our official facebook page

Saturday 23 May 2015

আমারও একটা মনের মানুষ ছিলো

*********************************
আমারও একটা মনের মানুষ ছিলো
বুকভরা স্বপ্ন ছিলো,বেঁচে থাকার
ইচ্ছে ছিলো-
একটা অসীম আকাশ ছিলো;
জ্যোস্নামাখা চাঁদ
ছিলো,হাতে হাত ছিলো-
একটা ফুলের বাগান ছিলো।

আমারও একটা মনের মানুষ ছিলো
মায়াবী বিকেল ছিলো,বৃষ্টিস্নাত
কদম ছিলো-
মুগ্ধ হবার কারণ ছিলো;
অনুভূতির কাঁপন ছিলো,হারানোর ভয়
ছিলো-
চোখের ভীতর পদ্ম সরোবর ছিলো।
আমারও একটা মনের মানুষ ছিলো
হৃদয় জুড়ে বিশ্বাস ছিলো,উষ্ণ
নিশ্বাস ছিলো-
অপেক্ষাতে বসে থাকার
ইচ্ছে ছিলো।
আমারও একটা মনের মানুষ ছিলো
সকাল ছিলো,বিকাল ছিলো,রাত
ছিলো-
ভালোলাগার অনেকগুলো প্রহর
ছিলো;
হাসি ছিলো,কান্না ছিলো,রাগ
ছিলো-
অভিমানের দহন ছিলো।
আমারও একটা মনের মানুষ ছিলো
দুই হৃদয়ে এক হৃদয়ের টান ছিলো-
মনের ভিতর মন ছিলো!
থোকায় থোকায় জোনাক ছিলো-
ঘাস ফুল নদী ছিলো।
আমারও একটা মনের মানুষ ছিলো
নিলুয়া বাতাস ছিলো,রৌদ্র
ছিলো-
অবাধ জলে সাঁতার ছিলো;
হেঁয়ালি ভরা সকাল-সন্ধ্যা ছিলো-
আমার একটা মনের মানুষ ছিলো!

By: তালুকদার ইমরোজ
facebook: Talukder Imroj





আমরা লেখক -G_Fahim- | Give your writings to this page. This is our official facebook page

Monday 18 May 2015

"দূরে আছো দূরে"

তোমাকে পারিনি ছুঁতে,
তোমার উষ্ণ দেহ ছেনে ছেনে কুড়িয়েছি সুখ,
পরস্পর খুড়ে খুড়ে নিভৃতি খুঁজেছি।

তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই।
যেভাবে ঝিনুক খুলে মুক্ত খোঁজে লোকে
আমাকে খুলেই তুমি পেয়েছো অসুখ,
পেয়েছো কিনারাহীন আগুনের নদী।
শরীরের তীব্রতম গভীর উল্লাসে
তোমার চোখের ভাষা বিস্ময়ে পড়েছি-
তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই।
জীবনের ’পরে রাখা বিশ্বাসের হাত
কখন শিথিল হয়ে ঝ’রে গেছে পাতা।
কখন হৃদয় ফেলে হৃদপিন্ড ছুঁয়ে
বসে আছি উদাসীন আনন্দ মেলায়-
তোমাকে পারিনি ছুঁতে-আমার তোমাকে,
ক্ষাপাটে গ্রীবাজ যেন, নীল পটভূমি
তছনছ করে গেছি শান্ত আকাশের।
অঝোর বৃষ্টিতে আমি ভিজিয়েছি হিয়া-
তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই।

By: রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।





আমরা লেখক -G_Fahim- | Give your writings to this page. This is our official facebook page

Sunday 17 May 2015

লাল চোখ <ভূত>


রাত দশটা খড়মপাড়া গ্রামের জন্য বেশ অনেকই রাত। ফইজু
মেম্বার ভাবে নাই কাজ শেষ করতে করতে এত রাত হয়ে
যাবে। কিন্তু এই এলাকার মাতবর সে। চেয়ারম্যান থাকে
সদরে। তাই গ্রামের বিচার আচার আর শালিশ-দরবার সব
ফইজু মিঞাকেই সমলাতে হয়। দেখা যায় দরবার শেষ হয়ে
গেলেও অনেকে ঘিরে ধরে তাকে, মিষ্টি পিচ্ছিল কথা বলে।
তো আজকেও এমনি একটা বিচার ছিল। প্রবাসী শ্রমিক
মনির হোসেনের স্ত্রী বেলায়াতীর সাথে প্রতিবেশী আছির
মন্ডলের একটা গোপন কচলাকচলি দেখে ফেলে ভাতৃবধু
সুফিয়া। তারপর হাকডাক, কান্নাকাটি আর ঝগড়া-ঝাটির পর
আজকের এই শালিস। এরই মধ্যে ফইজু মিঞার সমবয়সী
আছির মন্ডল তলে তলে রসময় সমঝোতায় চলে আসে তার
সাথে। শালিস শেষে বেলায়েতীর সাবিত্রী রায় নিয়ে
জনসমাগম বাড়ী চলে যায়। আর সাঝবেলা আধো আলো
আঁধারে কি দেখতে কি দেখা আর সেটা নিয়ে হাক ডাক করার
জন্য তিরস্কৃত হয় সুফিয়া। তারও আধা ঘন্টা পর ফইজু
মিঞা বুঝতে পারে আসলেই বেলায়াতী বেশ উদার। তার
বাধানো তাগড়া শরীরেও হাপ ধরে গিয়েছে এক দ্রুত
আপ্যায়নে।
কাজ কাম শেষে বাড়ীর পথ ধরে ফইজু মিঞা। ফটফটে
জোৎøা আছে, গ্রাম্য পথ চলতে তেমন কোন সমস্যাই
হচ্ছিল না। নিথর গভীর রাত, নুন্যতম শব্দহীন সুনসান
চরাচর। তেল মারা বয়সী হারকিউলিস সাইকেল প্যাডেলে
প্যাডেলে সামান্য কোঁকিয়ে উঠছে শুধু। ফজিুর সারা শরীরে
একটা আরামদায়ক অবসাদ। তবে, নাপাক শরীরে একটু
অস্বস্তি লাগছে। কারন গায়েবী মাখলুকাতগুলো নাপাক
শরীরের গন্ধ পায়, একা পেলে যা তা উৎপাত করে।
কার্তিকের মাঝরাত। ঝলক ঝলক হিমেল হাওয়া প্রবাহিত
হচ্ছে মাঝে মধ্যে। হঠাৎ একটা কালো বিড়াল হুস করে
রাস্তার এপাশ থেকে ওপাশে দৌড়ে পার হয়ে গেলো। আর
একটু হলে সাইকেলের নীচে চাপা পড়তো।
ফইজু মিঞা থামে। লুঙ্গীর কোট থেকে বিড়ি ম্যাচ বের করে
আগুন জ্বালায়। কষিয়ে টান বসায়। কেমন যেন একটা অব্যক্ত
অস্বস্তি ফুটে উঠছে মনের পটে। নাহ্! এত রাতে এমন একা
একা বের হওয়া ঠিক হয় নি। আবজইল্ল্যা আসতে চেয়ে ছিল
সাথে। কিন্তু সাইকেলে ডাবলিং করার হ্যাপায় তাকে ফিরিয়ে
দিয়ে ছিল ফইজু। এখন সামান্য আফসোস হচ্ছে। কেমন যেন
একটা বোবা ভয় ধীরে ধীরে কুয়াশার মত দলা পাকাচ্ছে অসম
সাহসী ফইজু মিঞার গোটা অস্তিত্বকে কেন্দ্র করে।
পল পল করে পার হয় কিছু বোবা সময়। উষ্ণ ঘাম বুক গলা
ভিজিয়ে দিচ্ছে তার। একটা দিশেহারা ভাব তাকে যখন গ্রাস
করতে যাচ্ছিল ঠিক তখন দূর থেকে ভেসে আসলো কয়েকজন
মানুষের কন্ঠস্বর। উঠে দাঁড়িয়ে পাছায় ঘাম ভেজা করতল
মোছে ফইজু। অবারিত জোৎøায় চোখ সরু করে তাকায়।
তিনজন ছেলে বয়সী মানুষ আসছে। হঠাৎ যেন কর্পূরের মত
উবে গেল সব ভয়। জাদরেলী হাঁক ছাড়লো, ‘ কারা যায়’?
কাছে এসে পাশের গ্রামের যুবকত্রয়ের সলাজ উত্তর,
বাজারের ভিডিও দোকানে রাতের বিদেশী ফিলিম দেখে বাড়ী
ফিরছে তারা। ফইজু মিঞা সাইকেল ঠেলে হাটতে থাকলো
তাদের সাথে। বেশ অনেকটা পথ এক সাথে যাওয়া যাবে।
সংকোচিত যুবকদের বিদেশী ফিলিম দেখার কুফল বর্ণনা
করতে করতে দিঘীর পাড়ে পৌছে গেল। এবার যুবকত্রয় ভিন্ন
পথে যাবে। ফইজু মিঞার বাড়ী এখান থেকে আর মাইলখানেক
মাত্র। চলে যাওয়া যাবে একটানে।
বিদায় নিল যুবকেরা। তারা চোখের আড়ালে যেতেই আবার
স্বমহিমায় ফিরে এল সেই পুরাতন ভয়। যেন কাছাকাছি
কোথাও ঘাপটি মেরে লুকিয়ে ছিল এতণ। নিরিবিলি পেয়ে
লাফিয়ে চেপে বসেছে ফইজু মিঞার ঘাড়ে।
বাতাসে হাত চালিয়ে কি যেন উড়িয়ে দিয়ে আবার রওনা হল
দোটানায় পড়া ফইজু। দিঘীর উঁচু পাড় থেকে নিচে নেমে গেছে
রাস্তাটা। অনেক দূর পর্যন্ত প্যাডেল মারতে হয় না। শুধু
হ্যান্ডেল ধরে বসে থাকলেই হয়। জোরে জোরে কয়েকটি চাপ
দিয়ে পা দুটোকে জিরাতে দিল ফইজু। ঝড়ের বেগে সা সা করে
ছুটে চলছে সাইকেল। আরো কিছু বাড়তি গতি দিতে সজোরে
প্যাডেল দাবায় ফইজু। হঠাৎ আবিস্কার করে চেইন পড়ে
গেছে। হতাশ হয়ে সাইকেল থেকে নামে সে। মনের মধ্যে কেমন
যেন কু ডাকছে। বোধ হচ্ছে সাইকেল থেকে নামাটা মোটেও
ঠিক হচ্ছে না, কিন্তু কি আর করা। না, চেইনটা পড়েনি! মাঝ
বরাবর দুই খন্ড হয়ে ছিঁড়ে গেছে! বাকীটা পথ সাইকেল ঠেলে
নিয়ে যেতে হবে।
দিঘী পাড়ে রাস্তার দুপাশে যেমন ঘন ছনের ঝোপ ছিল,
এখানটা একদম পরিস্কার। সামনের দিকে যতদূর দৃষ্টি যায় ধূ
ধূ চরাচর। হাশেম মুন্সীর পাথার। এই বিস্তীর্ণ পাথারের
পরই শুরু হয়েছে ফইজুদের গ্রাম। গ্রামের একেবারে
মাঝামাঝিতে তার বাড়ী ।

কিছু দূর যাবার পর ফইজু মিঞা দেখলো মেটে রাস্তার
উত্তর পাশে বেশ কয়েকজন মানুষ বসে আছে। আরো একটু
এগিয়ে গিয়ে দেখা গেল দশ-বারো জন যুবক বয়সী ছেলে
রাস্তার পাশে বসে দুলে দুলে কি যেন বই পড়ছে। পরনে লম্বা
সাদা জামা আর মাথায় গোল টুপি। চারপাশটা কেমন যেন
একটা লালাচে আভায় আলোকিত হয়ে আছে। এই কটকটে
জ্যোৎøায় চেষ্টা করলে হয়তো কিছু পড়া যায় কিন্তু এতো
জায়গা থাকতে রাস্তায় বসে পড়াশুনা করতে দেখে ফইজুর
মেজাজ তিরিি হয়ে উঠলো। ‘কে রে তোমরা, এখানে কি
কর’? পিলে চমকানো হাঁক দাগালো ফইজু মিঞা।
সবগুলো যুবক শান্তভাবে এক সাথে তাকালো ফইজু মিঞার
দিকে। হঠাৎ অন্তরাতœা খাঁচা হয়ে গেল ফইজু মিঞার।
যুবকগুলোর চোখের জায়গায় যেন গনগনে অঙ্গার বসানো।
ধক্ব ধক্ব করে জ্বলছে। লাল আলোয় আলোকিত হয়ে
উঠেছে চারপাশ। কেমন একটা পোড়া পোড়া গন্ধ। পড়া বন্ধ
করে ধীরগতিতে নড়ে উঠে যুবকেরা। যেন তার অপোতেই বসে
ছিল এতো সময়। বিস্ফোরিত চোখে ফইজু দেখে চার হাত
পায়ে ভর করে দ্রুতগতিতে তার দিকেই ছুটে আসছে তারা।
ওওওরে.... বাবা গো......! বলে উর্দ্ধশ্বাসে দৌড় দিল
ফইজু মিঞা। ঢেলায় আঘাত খেয়ে পায়ের নখ উল্টে গেছে,
কাদায় পিছলা খেয়ে লুঙ্গী ছিড়ে গেছে, কোন অনুভূতি নেই
ফইজুর। যে কোন মূহুর্তে যেন ফেটে যাবে ফুসফুস। বাড়ীর
পেছনের ডেঙ্গা দিয়ে ট্টটি ও মুরগীর ঘরের ফাঁক গলে দাওয়ায়
আছড়ে পড়ে সে। গোঁ গোঁ শব্দ করে হঠাৎ নীথর হয়ে যায়
সে।
বাড়ীর লোকজন কুপি হারিকেন নিয়ে বের হয়ে এসে দেখে চিৎ
হয়ে পড়ে আছে নিস্পন্দন ফইজু মিঞার প্রাণহীন দেহ। চোখ
দুটো আর দাতের পাটিগুলো বিস্ফোরিত ভাবে খুলে আছে।
দাঁতের ফাক গলে বের হয়ে আছে লম্বাটে শুষ্ক জিহবা। মারা
গেছে ফইজু মিঞা। চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে আলগা
বাতাস লাগা লাশ। কান্নার রোল উঠলো ফইজুর বউ আর
বাধা মুনীদের মাঝে। আর্তনাদে যেন চিরে দুই ভাগ হয়ে যাবে
কালো আকাশ।
হিম শীতল দেহটাকে গোসল করালো পড়শীরা। নিঃসন্তান
ফইজু মিঞার জন্য বিলাপ করার জন্য আধবুড়ো বউ ছাড়া
আর তেমন কেউ নেই। বউও মূর্চ্ছা খেয়ে পড়ে আছে। তার
শুশ্র“সা করছে পাড়ার নারীরা। সিদ্ধান্ত হলো আলগা লাগা
মরা গোর দিতে দেরী করা যাবে না। রাত পোহালেই ফজরের
নামাজ শেষে জানাজা দিয়ে দেয়া হবে।
ফজরের নামাজ শেষ পর্যায়ে লম্বা সালাম দিয়ে ডানে বামে
ঘাড় ঘোরালেন ঈমাম সাহেব। মুসল্লীরা অবাক হয়ে দেখলেন
জামাতে শরীক হয়েছে অপরিচিত দশ-বারো জন যুবক বয়সী
তালিবুল এলেম। তাদের আচার আচরনে কেমন যেন অদ্ভুত
একটা মিল। সবাই যেন একজন কিংবা একজনেরই প্রতিচ্ছায়া
সবাই। এপাড়া বা আশেপাশের গ্রামের নয় এটা নিশ্চিত।
কারন, এই এলাকার মানুষেরা এমন তুষার সফেদ কুর্তা গায়ে
দেয় না।
এবার জানাজা নামাজ। এক কাতারে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে
নামাজ পড়লো যুবকেরা। জানাজা শেষে অন্যদের একরকম
জোর করে সরিয়ে দিয়েই লাশের খাটিয়া কাঁধে তুলে নিল চার
যুবক। তারপর হন হন করে হাঁটা ধরলো গোরস্থানের দিকে।
অন্ধকার ভোরে কোন মুসল্লীই তাদের গতির সাথে তাল
মেলাতে পারছে না। মসজিদের বয়স্ক ঈমাম আর হাফেজ
মুয়াজ্জিন কিছু একটা সন্দেহ করতে লাগলো। কিন্তু সবকিছু
বুঝে উঠার আগে হামিদার ছাড়া বাড়ীর মোড় ঘুরেই যেন
শুণ্যে মিলিয়ে গেল লাশের খাটিয়া আর তার বাহকেরা।
কোথাও দেখা গেল না তাদের। শুধু চারপাশ ম ম করছে
আতর আর লোবান পোড়া গন্ধে।
ফইজু মিঞার লাশ আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় নি।

By : সৈয়দ আদিল ইয়াফি




আমরা লেখক -G_Fahim- | Give your writings to this page. This is our official facebook page




Monday 11 May 2015

ভূত

ঘটনাটা আমার এক আঙ্কেলের কাছে শোনা, উনার নাম মফিজুর রহমান। উনি১৯৭১-এ যুদ্ধ করেছেন । যুদ্ধ শেষ হবে এমন সময় কোন একটা অপারেশনে উনাদের একজনযোদ্ধা সাথী মারা যান কপালে গুলি খেয়ে, যার নাম সফিউল্লাহ্ । কয়েকদিন বাদেই যুদ্ধ শেষ হলো । আঙ্কেল ঠিক করলেন সফিউল্লাহর বাড়িতে যাবেন উনার মৃত্যুর খবর দিতে । সফিউল্লাহর কিছু ব্যক্তিগত চিঠি থেকে উনার স্ত্রীর ঠিকানা জোগাড় করাহলো । জায়গাটা বাগেরহাটের খানজাহান আলীর ষাট গম্বুজ মসজিদের আশেপাশে কোন একটা গ্রাম ।কোন একদিন আঙ্কেল রওনা দিলেন, একে তো রাস্তার অবস্থা খারাপ তারপরযুদ্ধ পরবর্তী অবস্থা । অনেক কষ্টে সন্ধ্যায় গিয়ে পৌঁছালেন ওই গ্রামে, মানুষ জনকে জিজ্ঞেস করে সফিউল্লাহর বাড়িও খুঁজে পেলেন । ছনের কুঁড়ে ঘরের মত ছোট্ট ঘর, বাইরে থেকেই দেখলেন ভিতরে কুপির আলো জ্বলছে । উনি সফিউল্লাহর স্ত্রী ও মেয়ের সাথে দেখা করলেন আর তাদের জানালেন মৃত্যুর খবরটা । খবরটা শুনে ওদের মধ্যে কোন ভাবান্তর হলো না। সফিউল্লাহর স্ত্রী বলল হঠাৎ “আপনি অপেক্ষা করেন উনি আইসে পরবিনে ।” আঙ্কেল বুঝতে পারলেন না, ভাবলেন ওদের কোন আত্মীয়র কথা বলছে । রাতের খাবার তিনি ওখানেই খেলেন, পরে বাইরে উঠানে সিগারেট ধরালেন আর সারাদিনের কথাচিন্তা করলেন । কেন সফির স্ত্রী আর মেয়ে কোন রকম কান্নাকাটি করল না, কেনই বা এরকম ভাবকরল । তখনই হঠাৎ একটা কণ্ঠস্বর বলল আরে মফিজ ভাই কেমন আছেন ?
কণ্ঠস্বর শুনেই আঙ্কেল বুঝেছিলেন এটা সফির গলা। অন্ধকারে সফির অবয়বটাও ভালোই বোঝা যাচ্ছে । তিনি আর অপেক্ষা না করে পিছনের মাঠদিয়ে দৌড়াতে লাগলেন । পালানোর সময় পিছন দিক দিয়ে বিকট আর অদ্ভুত আওয়াজ পাচ্ছিলেন, এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান । সকালের দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখেন তিনি খানজাহান আলীর দীঘির পাশে পড়ে আছেন। আশেপাশে লোকজন, তিনি সবাইকে ঘটনাখুলে বলেন । ওরা জানায় কিছুদিনআগে পাকিস্তানিরা ওই বাড়িতে আগুনধরিয়ে দেয় আর মাও মেয়ে মারা যায় ।উনিপরে গিয়ে ওখানে কোন বাড়িদেখতে পাননি । যেই লোক বাড়ির পথ দেখিয়েছিল তাকেও পাননি খুঁজে । পড়ে তিনি ফিরে আসেন ।** সফিউল্লাহ্ একটা অপারেশনে মারা যান, উনার লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি ।**

By : রাজ ভূইয়া ।




আমরা লেখক -G_Fahim- | Give your writings to this page. This is our official facebook page

Sunday 10 May 2015

একজন খারাপ মানুষ ও তার মা


পৃথিবীর একজন খারাপ মানুষ,,সে শুধু খারাপ
না,,,বলতে গেলে খুব খারাপ।পৃথিবীর সব
ধরণের খারাপ কাজ সে নিঃসংকোচে করে
ফেলতে পারে।সবাই সেই মানুষটাকে
মনেপ্রাণে ঘৃণা করবে।হয়ত দুনিয়ার সব
মানুষ তার বিরুদ্ধাচরণ করলেও একজন সবসময়
তার পাশে থাকবে,,,জানেন তিনি কে??? 




তিনি সেই খারাপ মানুষটার জন্মদাতা
মা।.....
.
বিশ্বাস হয় না তাইনা???? একটা বাস্তব
ঘটনা বলছি শুনেন......
.
একদিন স্কুল থেকে আসছিলাম।গলির মুখে
একজনকে ঘিরে অনেক মানুষের জটলা
দেখলাম।কৌতূহলবশত গেলাম সেখানে।
গিয়ে দেখলাম একজন চোর চুরি করতে গিয়ে
ধরা পড়েছে।তার নাম কাদের।সেখানে
তার বিচার করা হচ্ছে।সবাই শুধু চোরটাকে
দোষারোপ করছে।তার কি শাস্তি দেওয়া
যায় সেটা নিয়ে কথা বলছে।
.
কিন্তু চুরির প্রমান পাওয়া সত্তেও একজন
মহিলা সেই চোরটাকে জড়িয়ে ধরে
বারবার সবার কাছে কাকুতি মিনতি করছে
এই বলে যে,,"আমার ছেলে কিছু করে
নাই,আপনারা ওরে মাইরেন না,আপনারা
আমারে মারেন,তাও আমার পোলাডারে
ছাইড়া দেন,"...হুম ইনিই সেই চোরের
মা.........


.
অথচ কাদের তার এই মাকেই কয়েকদিন
আগে তার বউয়ের কথা শুনে গলা ধাক্কা
দিয়ে বের করে দিয়েছিল।তারপর কাদেরের
মা তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে
থাকছিলেন।কিন্তু নিজের ছেলের বিপদে
পড়ার খবর শুনে তিনি ঠিক থাকতে
পারেননি।কাদেরের ধরা পড়ার খবর শোনা
মাত্রই সব কিছু ফেলে তার ছেলের কাছে
ছুটে আসেন।এটাই হয়ত মায়ের
ভালোবাসা.....
.
কিন্তু যেই বউয়ের কারণে কাদের তার
মাকে ঘরছাড়া করেছিল সেই বউ????
.
কাদেরের বউ কাদেরের চুরি করতে যেয়ে
ধরা পড়ার খবর শোনা মাত্রই লোক লজ্জার
ভয়ে বাড়িতে তালা মেরে তল্পি তল্পা
নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেছে....বিপদে
পড়া স্বামীকে একবার দেখতে পর্যন্ত
যাইনি।
.
মায়ের ভালোবাসা আর বউয়ের
ভালোবাসার পার্থক্যটা এখানেই।...সন্তান
তার মায়ের সাথে যতই খারাপ ব্যবহার করুক
না কেনো,,মা সন্তানকে কখনোই অভিশাপ
দেননা।,,হাঁ হয়ত একটু রাগ করেন,,কিন্তু তার
এই রাগের সাথে মিশ্রিত থাকে তীব্র
ভালোবাসা,,যখনই মায়ের রাগ ভাঙে তখনই
সেই তীব্র ভালোবাসাটা প্রকাশ পায়....
.
আর "মা" তো মা ই!!!...তার সাথে তো অন্য
কারো তুলনা করলে হবে না।তিনি স্রষ্টার
এক অতুলনীয় সৃষ্টি।আপনি আপনার বউকে
বস্তা বস্তা ভালোবাসেন ক্ষতি
নাই,,কিন্তু মাকে বাদ দিয়ে নয়।কারণ
দুনিয়াতে মা এর স্থান সবার উপরে।....বউ
গেলে বউ পাবেন কিন্তু মা
গেলে???....যাদের মা নাই একমাত্র তারাই
বোঝে মা হারানোর বেদোনাটা কতটা
গভীর এবং কতটা তীব্র.......
.
মা দিবসে সকল মায়ের প্রতি রইল বিনম্র
শ্রদ্ধা ও ভালবাসা!.... 


By: Saimon Sakib
Facebook: Md Saimon Sakib




আমরা লেখক -G_Fahim- | Give your writings to this page. This is our official facebook page

মা

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মনোবিজ্ঞানী কে ?
উত্তর : মা
-
সন্তান কি চায় , না চায় সেটা উনি সন্তানের চোখের দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারেন । কোনটা সত্য বলছেন , কোনটা মিথ্যা বলছেন . . . এটা বলে দিতে তাঁর মাত্র এক সেকেন্ড সময় লাগে । দুনিয়াতে সবাইকে ফাঁকি দিতে পারবেন , কিন্তু মা'কে ফাঁকি দিতে পারবেন না ।
- - - -
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডাক্তার কে ?
উত্তর : মা ।
-
ছোট বেলায় আমার প্রচুর জ্বর হতো । জ্বরের ঘোরে আবোল-তাবোল বকতাম । মা সারারাত জেগে থাকতেন । মাথায় পানি ঢালতেন । এটা-সেটা মুখে তুলে দিতেন ।ধীরে ধীরে আমি সুস্থ হয়ে উঠতাম । আমি নিশ্চিত , মা যদি ঐভাবে পাশে না থাকতো তাহলে আমি হয়ত অনেক আগেই পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেতাম । তাই আমার চোখে আমার "মা" ই পৃথিবীর সেরা ডাক্তার ।
- - - -

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সেবিকার নাম কি ?
উত্তর : মা
-
উনিই পৃথিবীর একমাত্র সেবিকা , যিনি সেবার বিনিময়ে কোন কিছু প্রত্যাশা করেন না । দিনের পর দিন , মাসের পর মাস অসুস্থ সন্তানের সেবায় কাটিয়ে দেন । সন্তানকে কোলে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা হাঁটা-হাঁটি করেন । ব্যাথায় পা দুটো ফুলে যায় , কিন্তু সন্তানকে সেটা বুঝতে দেন না । উনিই একমাত্র সেবিকা যিনি বলতে পারেন , " হে আল্লাহ্ তুমি আমাকে নিয়ে যাও , বিনিময়ে আমার সন্তানের জীবনটা ভিক্ষা দাও ।"
- - - -
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যাজিশিয়ান কে ?
উত্তর : মা
-
সন্তান যত দূরেই থাকুক , মা সব সময় সন্তানকে দেখতে পান । ধরুন আপনি হাজার মাইল দূরের প্রবাসী । যেভাবে হোক একটা দূর্ঘটনা ঘটে গেছে আপনার । ভাবছেন মা'কে কিছুই বলবেন না , মা শুনলে টেনশন করবেন । কিন্ত আপনি কিছু বলার আগেই দেখবেন বাড়ি থেকে মায়ের ফোন চলে এসেছে ।
"হ্যালো বাবা ! কাল রাতে তোকে নিয়ে একটা খারাপ স্বপ্ন দেখেছি , তুই ভাল আছিসতো ?"
- - - -
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও শীতল ছায়াময় বটগাছ কোনটি ?
-
উত্তর : মা ।
যত বিপদ আসুক । যত ঝড়-তুফান আসুক । আপনি তবু নিশ্চিন্ত । আপনি জানেন , আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কারন আপনার মাথার উপর আছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বটগাছটি । আপনার কাছে আছেন আপনার "মা" ।
- - - -
পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃস্বার্থ বন্ধুটির নাম কি ?
উত্তর : মা !
-
বিপদেই বন্ধুর পরিচয় । একবার মনে করে দেখুনতো বিপদে পড়েছেন , অথচ মা'কে কাছে পাননি এমন ঘটনা আছে কি-না ?
না নেই । কারন বিপদে সবাই আপনাকে ছেড়ে গেলেও উনি কিন্তু যাবেন না । উনি এমনই , আর এজন্যই উনাকে "মা" বলে ডাকা হয় ।
- - - -
পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা আয়না কোনটি ?
উত্তর : মা
-
আপনি অন্য যে কোন আয়নার সামনে যান , নিজের মধ্যে একটা না একটা খুঁত পাবেনই । কিন্তু "মা" নামক ঐ বিশেষ আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ান । দেখবেন আপনার কোন খুঁত নেই । ঐ আয়নাটির চোখে আপনিই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানুষ ।
- - - -

পৃথিবীর সবচেয়ে দামী রত্ন কোনটি?
উত্তর : মা
-
এই রত্নটির যে কি মূল্য , যাদের কাছে এটি আছে তারা বুঝতে পারে না । যারা এটি একবার হারিয়ে ফেলেছে , কেবল তারাই বুঝতে পারে কি অমূল্য রত্নটি তারা হারিয়েছে ।
- - - -
আসলে মা'কে নিয়ে এভাবে লিখতে গেলে কখনোই শেষ হবে না । পৃথিবীতে যত সুন্দর সুন্দর উপমা আছে সবগুলো কেবল মায়ের সাথেই মানায় ।
তাই মহামূল্যবান এই রত্নটিকে খুব যতনে আগলে রাখুন । আমার মত অসময়ে হারিয়ে ফেলবেন না যেন ।
- -


BY: FA Tarek
Facebook: FA Tarek



Saturday 9 May 2015

ছেড়ে যাবি নাতো

(একটি মধুর প্রেমের গল্প।)

 

 

ক্লাস থেকে বের হয়ে একটু চিন্তায় পরলাম। পকেটে মাত্র একশ টাকা। সম্বল বলতে এটুকুই। কাল নীরার জন্মদিন। তিন বছর ধরে একসাথে আছি। মেয়েটাকে কখনোই কিছু দেয়া হয়নি। পৃথীবিতে কিছু কিছু মেয়ে আছে যারা অল্পতেই খুশী। নীরাও তাই। ও এমন একটা মেয়ে যার কাছে কিছুই লুকানো যায়না। আর তাই তিন বছরের মধ্যে ওর সামনে কখনো মন খারাপ করতে পারিনি। এমনিতেই ও অনেক বেশি কেয়ারিং। নীরার সাথে আমার পরিচয় ফার্মগেটে। ইউ-সি- সি তে কোচিং করার সুবাদে। ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হয়ে প্রথমেই নিজেকে গুছিয়ে নিতে কিছু সময় লাগে। জীবনের বড় একটা অংশ মেয়েদের কাছ থেকে দূরে থাকার ফলে মেয়েদের প্রতি তীব্র কৌতূহল ছিল। যদিও ছেলে হিসেবে আমি বেশ লাজুক প্রকৃতির। একবার কোচিং এর সামনে বসে ফুচকা খাওয়ার পর টাকা দিতে গেলে খেয়াল করলাম পকেটে মানিব্যাগ নেই। এক প্রকার অস্বস্তির মধ্যে পড়লাম। ছোটবেলা থেকেই আত্মসম্মান বোধটা আমার প্রচন্ড। ফুচকাওয়ালাকে বললাম 'মামা, মানিব্যাগ ফেলে এসেছি। আমার কাছে টাকা নাই। এই ঘড়িটা রাখুন।' দোকানী বিজয়ীর হাসি দিল। স্টিভ জবস আইপড আবিস্কার করে যেমন হাসি দিয়েছিলেন অনেকটা সেরকম। জীবনের সেই চরম অপমানজনক অবস্থা থেকে নীরাই আমাকে রক্ষা করেছিল। সেই থেকে একসাথে আছি। জীবনের বাকীটা পথও এভাবেই থাকার ইচ্ছা।
মনে মনে একটা হিসেব দাঁড় করালাম। কাল নীরার একুশতম জন্মদিন। শাহবাগ থেকে একুশটা সাদা
গোলাপ কিনতে হবে। আর সাথে নীরার সবচেয়ে পছন্দের কৃষ্ণপক্ষ বইটা। সবমিলিয়ে দেড়শ টাকার মধ্যে হয়ে যাওয়ার কথা। বিকেলে অবশ্য হাতে কিছু টাকা আসবে। প্রথম আলোর সাহিত্য পাতায় গত
সপ্তাহে আমার একটা লেখা ছাপা হয়েছিল। তার সম্মানী হিসেবে কিছু পাওয়ার কথা। আসলে ঢাকা শহরে অর্থের কষ্টটা কাউকে বুঝতে দেয়া যায়না। প্রিয় মানুষ গুলোকে তো না ই। আর নীরা যদি জানতে পারে
আমার এ অবস্থা তা হলে নির্ঘাত খুন করে ফেলবে। হাতে এক হাজার টাকার নোট ধরিয়ে দিয়ে বলবে 'ধুর
গাধা। ফ্রেন্ডদের কাছে কিছু লুকোতে হয়?' গত তিনবছরে অনেকবার এমন হয়েছে। যদিও
নীরা আমার শুধু বন্ধুই না, বন্ধুর চেয়ে কিছুটা
ওপরে। আর প্রেয়সীর চেয়ে কিছুটা নিচে। তবে আমার ইচ্ছে কাল ওকে আমার ভালোবাসার কথা বলবো।
আগে থেকেই প্লান করা।
সকালে ও টিএসসি তে আসবে। সেখান থেকে দু জন ধানমন্ডী যাবো। বিকেলে আশুলিয়া। নীরার সাথে ঘোরার একটা আলাদা মজা আছে। সারাক্ষন পাগলামী করবে। কখনো চুল ধরে,কখনো শার্ট ধরে টান মারবে। আর সবসময় হাসির কথাবার্তা। দামী কোন রেস্তোরায় খেতে গেলে বলবে 'ধুর বোকা,তুই কি অনেক টাকা আয় করিস? তার চেয়ে আয় বাদাম খাই। শোন বাদাম হলো ভালোবাসার ফল। দেখিস না খোসার মধ্যে দু টো ফল। একটা তুই আর একটা আমি। আর আবরন হয়ে আছে ভালোবাসা কিংবা বন্ধুত্ব। বলেই জোড়ে হাসত। ঢাকা শহরের আকাশ বাতাস কাঁপানো সে হাসি দেখে
মনে হত এই মেয়ের কোন দুঃখ নেই। থাকতে পারেনা।
বিকেলে কাওরান বাজারে প্রথম আলোর অফিসে গেলাম। যা ভেবেছিলাম তার চেয়ে অল্প কিছু টাকা বেশি পাওয়া গেলো। হলে ফেরার পথে একুশটা সাদা গোলাপ কিনলাম। ইচ্ছে ছিল লাল গোলাপ কিনবো। কিন্তু নীরা এখনো আমার বন্ধু। লাল গোলাপ দেয়ার সাহস হলোনা। ফুল কেনার পর গেলাম আজিজ মার্কেটে। অনেক খুঁজে কৃষ্ণপক্ষ বইটা কিনলাম। হাতে কিছু টাকা বেশি থাকায় একটা কবিতার বই ও কিনলাম। নীরার আবার সুনীল খুব পছন্দ। মাঝেমাঝে ক্লাসের ফাঁকে ও বলত ...এই গাধা,তুই কি কিছুই লিখতে পারিসনা? দেখিস না সুনীল কি সুন্দর করে লিখেছে...এ হাত ছুঁয়েছে নীরার হাত। আমি কি এ হাতে কোন পাপ করতে পারি? ইস যদি কেউ আমার হাত ধরে এভাবে বলত. . . .দেখতাম নীরার অভিমানী চোখ দুটো ছলছল করে উঠতো। আমার খুব ইচ্ছে হত নীরার হাত ধরে বলি 'আমি আর কখনো পাপ করবোনা নীরা, তোর হাত টা একটু ধরতে দিবি??? গত চৌদ্দই ফেব্রুয়ারীর কথা। খুব সকালে নীরার ফোন। ঘুম জড়ানো কন্ঠে মোবাইল রিসিভ করে বললাম 'কি রে,তুই এত সকালে? ওপাশ থেকে নীরা শাসনের সুরে বললো 'আমি কলাভবনের সামনে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে চলে আয়। আমি স্বভাবতই একটু ঢিলেঢালা। নীলা জানতো আমার আসতে আধঘন্টা লাগবে। তবুও অসহায় মেয়েটি আমার পথের দিকে তাকিয়ে থাকতো। কিছুক্ষন পর এসে দেখি নীরা দাঁড়িয়ে আছে। নীল শাড়ী পরা নীরাকে দেখে মনে হল এক টুকরো আকাশ আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। মুগ্ধ চোখে নীরার দিকে তাকিয়ে বললাম 'তুই আসলেই অনেক সুন্দর...' নীরা অভিমানের স্বরে বললো 'তুই আসলেই গাধা, এতো দিনে খেয়াল করলি? শুধু আমার মনের ভেতর কোথাও বেজে উঠতো ...ভালোবাসি তোমাকে. . ." সকাল থেকেই নীরার জন্যে অপেক্ষা। কখনো ও এত দেরী করেনা। মনের মাঝে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে। আজ আবার হরতাল। কখন কি হয় বলা যায়না। আজ অনুধাবন করলাম অপেক্ষার কষ্ট আসলেই অনেক। প্রতিবারই নীরাকে যা আমার জন্যে সহ্য করতে হয়। এসব ভাবতে ভাবতে সামনে আগালাম। গোলাগুলির শব্দ। নীরার মোবাইলে ফোন দিলাম। অনেক আওয়াজের মধ্যে অপরিচিত একটা কন্ঠ বলল 'একটা মেয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে,শাহবাগ মোড়ে আসেন। আমি অবাক বাকরুদ্ধ হয়ে উদভ্রান্তের মত ছুটলাম। ভীড় ঠেলে সামনে এগিয়ে দেখি নীরা। মাটিতে লুটিয়ে আছে। ফিনকি দিয়ে পরা রক্তের অজস্র ধারায় সাদা শাড়ী খানা খয়েরী হয়ে গেছে।. . . . তানভীরের ডাকে তন্দ্রা ভাঙলো। এই ওঠ বারোটা বাজে। নীরাকে Wish করবিনা? হঠাত্ করেই নিজেকে আলাদা এক জগতে আবিস্কার করলাম। কি দুঃস্বপ্নটাই না দেখেছি। এক মুহুর্ত দেরী না করে নীরাকে ফোন দিলাম। এক রিং হতেই নীরা ফোন ধরল। 'কি ব্যাপার হাঁপাচ্ছিস ক্যানো? কি হয়েছে?????" আমি বললাম 'নীরা আমি তোকে অনেক অনেক ভালোবাসি। আমাকে ছেড়ে যাবিনাতো. . . .?'
 নীরা বললো কি পাগলের মত কথা বলছিস,কি হয়েছে বলবিতো? আমি বললাম "শোন
কাল তোর আসতে হবেনা। দেশের অবস্থা ভালো না। কাল হরতাল...' নীরা অবাক হয়ে বলল ক্যানো? মুখ থেকে মনের অজান্তেই বের হয়ে গেল 'আমি তোকে হারাতে চাইনা. . .I love u Neera, I love u so much. .

By: Fahim Faysal Sowrav
(collected). . .



Friday 8 May 2015

রুবিক্স কিউব

(সাইকো থ্রিলার)
`````````````````
আবিদা!কোথায় তুই? মায়ের ডাক শুনে মাথা সোজা করলো আবিদা।ঘড়ির দিকে চোখ যেতেই বুঝতে পারলো দুই ঘন্টা ধরে সে এখানে বসে আছে।তক্ষুনি হাতের রুবিক্স কিউবটা টেবিলে রেখে মায়ের কাছে ছুট লাগালো।যেতেই মা বকুনি দিয়ে উঠলো, ‘কোথায় ছিলি এতক্ষন?নিশ্চই রুবিক্স কিউব নিয়ে পরে ছিলি!’ হ্যাঁ সূচক ভাবে মাথা নাড়ালো সে।‘এই বক্সের মধ্যে কি পেয়েছিস বল তো!সারাদিন এটা নিয়েই পরে থাকিস।পড়া-লেখার তো কোন খবর নেই!দাঁড়া আগে রেজাল্ট আসুক তারপর দেখবি!’ মা গজগজ করতে থাকল।আবিদা আবার নিজের ঘরে গিয়ে ঢুকলো।ঘরে ঢুকে টেবিল থেকে রুবিক্স কিউবটা তুলে নিয়ে খাটে আধ শোয়া হয়ে ওটা মিলানোয় মনোনিবেশ করলো।
রুবিক্স কিউবের ভূত দুই মাস আগে তার মাথায় ঢুকেছে।কে যেন বলেছিল মেয়েদের দিয়ে রুবিক্স কিউব মেলানো হয় না।তারপর থেকেই তার এক রকম জেদ চেপে গেছে।যে ভাবেই হোক সে রুবিক্স কিউব এ ওস্তাদ হবে।আর জিনিসটা দেখতেও কিন্তু বেশ।চারকোণা একটা বক্স,মোট ৫৪টা কিউব,৬ দিকে ৬ রকম রং।গত দুই মাসের পরিশ্রমের ফলে এখন সে প্রায় কয়েক শ এ্যালগরিদম শিখে ফেলেছে।অনেকগুলো সমস্যাও মুখস্ত হয়ে গেছে।পুরো রুবিক্স কিউব মেলাতে তার এখন ৬৬ সেকেন্ড লাগে।কিন্তু তার আরো ভাল করা চাই।যাতে এক মিনিটেরও কম লাগে।যদিও এই রুবিক্স কিউব নিয়ে পরে থেকে তার লেখা-পড়া আসলেও লাটে উঠেছে।রাতের ঘুম বা দিনের খাওয়ার প্রতি বিন্দুমাত্রও মনোযোগ নেই তার।রাত-দিন শুধু একটাই চিন্তা,কি ভাবে আরও দ্রুত রুবিক্স কিউবটা মেলানো যায়।
মেলাতে মেলাতে কখন যেন চোখ লেগে এসেছিলো বলতেও পারবে না আবিদা।চোখ খোলার পরে বুঝতে পারলো রাত হয়ে গেছে।ঘড়িতে চোখ দিতেই দেখলো রাত সাড়ে নয়টা বাজে।কেউ ডাক দেয়নি।অবশ্য আম্মু ছাড়া বাসায় কেউ নেইও।আব্বু অফিসের কাজে বাইরে আছে।ভাইয়া তার বন্ধুর বাসায়।বিছানা ছেড়ে উঠে রুবিক্স কিউবটা খোঁজা শুরু করলো সে।কোথাও না পেয়ে মায়ের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাস করলো, ‘আম্মু আমার রুবিক্স কিউবটা কোথায়?’ মা বলল, ‘লুকিয়ে রেখেছি।তুমি আর সেটা পাচ্ছ না।’ আবিদাকে দেখে মনে হল এখনি কেঁদে ফেলবে।‘কেন!’ সে বারবার ঘ্যানর ঘ্যানর করতেই থাকলো।এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে তার মা তাকে একটা থাপ্পর দিল।থাপ্পর খেয়ে আবিদা কোন কথা বলল না,এমনকি শব্দও করলো না।চুপচাপ নিজের ঘরে চলে গেল।ওর মার মনে হল রুবিক্স কিউব নিয়ে পরে থেকে মেয়েটা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।কিছুদিন রুবিক্স কিউব না পেলেই আবার ঠিক হয়ে যাবে।
নিজের রুমে ঢুকে আবিদা কিছুক্ষন বসে থাকার চেষ্টা করলো।বসে থাকতে না পেরে উঠে পায়চারি শুরু করলো।তার রুবিক্স কিউব চাই।যে ভাবেই হোক চাই।রুবিক্স কিউব আর তার মধ্যে কারো আসা চলবে না।রাতে মা শুয়ে পরতেই আবিদা কিচেনে ঢুকল।কিচেন থেকে লম্বা কিচেন নাইফটা নিয়ে মায়ের ঘরে ঢুকলো।কিছুক্ষন পরে যখন বের হলো তখন তার সারা গায়ে রক্ত মাখা,ডান হাতে ছুরি আর বাম হাতে রুবিক্স কিউব।পরদিন বিকালে আবিদার বাবা বাসায় এসে তার স্ত্রী কে মৃত আবিষ্কার করলো।আবিদা তখনও নিজের রুমে বসে এক মনে রুবিক্স কিউব মেলাচ্ছে।
এটা ছয় সপ্তাহ আগের ঘটনা।আবিদা এখন একটা মেন্টাল হসপিটাল আছে।সাইকিক বিভাগের দুই মাত্রার ডেঞ্জারাস ক্যাটাগরির রোগী।এমনিতে সে সাধারন মানুষ,সারাদিন শুধু রুবিক্স কিউব নিয়ে বসে থাকে।কিন্তু কেউ তার রুবিক্স কিউব ধরলে বা সড়ানোর চেষ্টা করলেই পাগলামি শুরু করে।তাকে এখানে আনার তৃতীয় দিন নার্স এসেছিল কেবিন গুছাতে।চাদর বদলানোর জন্য খাটের উপর পরে থাকা রুবিক্স কিউবটা তুলে সাইড টেবিলে রাখতে যেতেই আবিদা সর্বশক্তিতে নার্সের গলা টিপে ধরে।চোখে তার খুনে দৃষ্টি।কেবিন বয় ছুটে এসে তাকে ছাড়িয়ে নেয়।এখন তো এমন অবস্থা যে কারো হাতে রুবিক্স কিউব দেখলেই আবিদা তার উপর হামলা করে।আবিদা এখনো রুবিক্স কিউব মিলিয়ে যাচ্ছে।তার এখন ৪৫ সেকেন্ড লাগে।লালটা বামে,নীলটা উপরে,কমলাটা ডানে এভাবে এক মনে সে মেলাচ্ছে।মিলে গেলে আবার উল্টপাল্টা করছে তারপর আবার মেলাচ্ছে।রুবিক্স কিউব মেলাতে মেলাতে হঠাৎ আয়নায় তার দৃষ্টি গেল।তার নিজের হাতেই রুবিক্স কিউব।সে ফল কাঁটার চাকুটা তুলে নিলো...!!
                                                    <<<<<<<বাংলাদেশ>>>>>>>



By :Rakib Hasan 
Facebook: Rakib Hasan








আমরা লেখক -G_Fahim- | Give your writings to this page. This is our official facebook page

Monday 4 May 2015

মহিলা হোস্টেলের ভূত

মহিলা হোস্টেলের ভূত
-----------------------
২০০৩ কি চারের ঘটনা। তখন আমি চট্টগ্রাম থাকি। পুরান চান্দগাঁও থানার ওখানে বাসা। কি একটা কাজে চান্দগাঁও আবাসিক গিয়েছিলাম। যখন ফিরছিলাম তখন ঘড়িতে রাত ১১ টা বেজে পনের। হঠাৎ খেয়াল চেপে বসলো আজ হেঁটেই বাসায় যাই। রিক্সা নিলাম না আর। মেইনরোড ধরে না গিয়ে আবাসিকের ভিতর দিয়ে ঘুর পথে যাওয়া শুরু করলাম।
এ ব্লকে মহিলা হোস্টেলের সামনে দিয়ে হেঁটে হেঁটে ১৩ নং রোডে ঢুকে পরলাম। নির্জন রাস্তা। শীতের রাত বলে কুয়াশা ঢাকা। আশে-পাশের বাড়ির বারান্দার লাইটের আলো রাস্তায় এসে উপচে পরে কুয়াশা কে আরো জমিয়ে দিয়েছে। হাঁটছি আপন মনে। কনকনে শীতে বেশ ভালোই লাগছিল হাঁটতে। একটু পর পর সিগারেটে টান দিচ্ছি। হঠাৎ আমার পাশ দিয়ে কি যেনো দ্রুত বেগে চলে গেল। চমকে দাঁড়িয়ে পরলাম। অস্ফুটস্বরে মুখ দিয়ে বের হয়ে গেল- "ভূত নাকি?"
এই বলে আবার সামনে - পিছনে তাকালাম। কিছুই দেখতে পেলাম না। বুকে ফুঁ দিয়ে হাঁটা শুরু করবো এমন সময়-ই কে যেনো বলে উঠলো- "হ! ভাইজান। আমি ভূত!"

- কে? কে?
- ভাইজান আমি। একটু সামনে আগায়া আসেন।
দেখি একটু সামনেই রাস্তার পাশের ডাব গাছের নিচে লিকলিকে শরীরে কে একটা যেন দাঁড়িয়ে আছে।
- কে? কে?
- ভাইজান কইলাম-ই তো আমি ভূত।
একটু সাহস নিয়ে সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে সামনে এগিয়ে গেলাম। দেখি অসহায় চেহারায় ডাগর ডাগর চোখে লিকলিকে শরীরের চার ফুটের মতো লম্বা একটা ভূত আমার সামনে। মুখে পাইরেটস অব ক্যারিয়ানের জনি ডেপের মতো বিনি করা দাড়ি। পরনে কেবল একটা থ্রি কোয়াটার প্যান্ট। তবে কোমরের মাপে ভুল আছে। পাটের দড়ি কোমড়ে শক্ত করে এঁটে বসে মান ইজ্জৎ টিকিয়ে রেখেছে। জীবনে এই প্রথম ভূত দেখলাম। ভয় লাগলো না একটুও। বরং ভূতটাকে দেখে ওর অসহায় মুখের দিকে তাকিয়ে মায়া হল। দেখলেই যেন বলতে ইচ্ছে করে- "বাবা খাইছো কিছু।" গায়ের রং হালকা নীলচে।
- কিরে হারামজাদা এখনো লুকাই আছিস ক্যান? সামনে আয়।
- লুকামু আর কই। আমাগো কি আর লুকানোর জায়গা আছে। সবতো আপনাগো ডেভলাপাররা দখল কইরা ফেলছে। কন কি কইবেন?
- আচ্ছা আমি তো শুনছিলাম ভূতেরা নাঁকি সুরে কথা বলে কিন্তু তুই তো দেখি আমাদের মতোই কথা বলিস। ব্যাপার কি রে?
- ভাইজান মাইন্ডে লইয়েন না একটা কথা কই। এই আকামডা করছে আপনেগো সাহিত্যিকেরা। হুদাই আমাগো নামে মিথ্যা অপবাদ দিছে আমরা কিনা নাঁকি সুরে কথা কই। ইচ্ছা করে থাবড়ায়া ওগো...
- হারামজাদা থাম। বাচাল ভূত কোথাকার। এখন বল এমন জোরে দৌড় দিয়া কই যাইতেছিলি? আমারে তো পুরা ভয় লাগাই দিছিলি।
ভূত একটু এগাই এসে দু'হাত দিয়ে প্যান্ট একটু উপরে তুলে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে। আমি আরেকটা সিগারেট ধরালাম।
- ভা-ই-জা-ন আর কইয়েন না। এই যে আবার মনে করায় দিলেন। দেহেন আমার হার্টবিট আবার বাইরা গ্যাছে।
- কি কইলি? তোর আবার হার্টবিট...
- কেন ভাইজান, ভূত বইল্লা কি আমাদের হৃদয় থাকতে পারেনা।
- আচ্ছা থাক বাদ দে। বল কেন দৌড় দিছিলি?
- ভয়ে দৌড় দিছিলাম।
- ভয়! ভূতরাও কি ভয় পায় রে। কিসের ভয়?
- বলা যাবে না। ভূত হইলেও আমারও তো আত্মসম্মানবোধ আছে নাকি।
- হারামজাদা তুই ভালোই পটর পটর করতে পারিস। বললে বল না হলে ভাগ।
- Just cool ভাইজান Just cool কইতাছি। বিড়িটা একটু দিবেন। একটা টান দেই।
- উরে সাংঘাতিক তুই বিড়িও খাইস।
- সব সময় খাইনা ভাইজান। মানুষিক চাপে থাকলে খাই।
- তোর আবার মানুষিক চাপ! কাম সারছে। নে ধর টান দে। এবার কাহিনী বল?
ভূতটা ডাবগাছের নিচে দু'পা ছড়িয়ে বসে গাছে হেলান দিয়ে সিগারেটে একটা লম্বা টান দিলো। এই মুহুর্ত ভূতটাকে দেখে কেমন যেন উদাস উদাস মনে হচ্ছে।
- আমি ভাইজান একটু ঘুরতে বাইর হইছিলাম। ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ ছোট বাথরুম পাইলো। আমি কিন্তু ভাই আপনাগো মতো গাছতলা, দেয়াল, খাম্বা পাইলেই ছাইড়া দেই না। টয়লেট ছাড়া আমি পি করতে পারি না।
ভূতের কথা শুনে হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছিলাম না। তবে ভূতের কথা শুনে লজ্জায় মাথাটা একটু কাঁটাও গেল।
- তো বাথরুম চাপাইয়া হাঁটতেছি। সামনে দেখি কর্মজীবি মহিলা হোস্টেল। ঢুইক্কা গেলাম ভিতরে। ঝকঝকে কমোড দেইখা পি করলাম। আমি আবার কমোড পরিষ্কার না থাকলে ব্যবহার করি না। তো পি কইরা বাইর হইতে যামু ঠিক ঐ সময় একটা সুন্দর্য কইরা মাইয়্যা টয়লেটে ঢুকার লাইগ্যা দরজাটা খুলতেই আমারে দেইখা ভূত-ভূত-ভূত বইলা যে চিৎকুর ডা দিলো ভাইজান। ঐ মাইয়্যার চিৎকুরের ঠেলায় ভয়ে আমার হার্টবিট এক্কেবারে একশ একশ। জান বাঁচানো ফরজ ভাইজান। জানডা কোন রকমে হাতে লইয়া আইজও দৌড় কাইলও দৌড়। তারপরেই তো আপনার লগে দেখা।
- বিলাইর হাড্ডি তুই পেশাব করার জন্য মহিলা হোস্টেলে গেছিস। তোর...
- ভাইজান থামেন। জানি কি কইবেন। আমার মা বইন আছে কি-না জিগাইবেন তো। আছে সবাই আছে। আমাগো মা বইন অনেক ভদ্র। শিষ্টাচার জানে। আপনাগো মা বইনের মতো রাত বিরাতে অতিথি মেহমান দেইখা চিল্লায়া কানের পর্দা ফাটায় দেয় না। হার্টবিট বাড়ায় দেয় না।
- হারামজাদা তুই অতিথি হইয়্যা মহিলা হোস্টেলে গেছিলি।
ভূত হঠাৎ সিগারেট ফেলে দিয়ে উঠে দাঁড়ালো। ভয়ে পানসে হয়ে গেছে মুখ। তাকিয়ে আছে অপলক আমার পাশে। আমি ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকাতেই দেখি এক মহিলা ভূত কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বলে দিতে হলোনা চেহারা দেখেই বুঝতে পারছি এইটা ভূতের মা। মা ছেলের কি মিল।
মহিলা ভূত ছেলের দিকে এগিয়ে গিয়ে কানের নিচে বিরাশি সিক্কার এক চড় কষালো। লিকলিকে ভূতটা ডাব গাছের সাথে সজোরে বারি খেয়ে স্প্রিং এর মতো দুলতে দুলতে সোজা হয়ে গেল।
- হারামজাদা তোরে পুরা আবাসিক খুঁজতাছি তুই এইখানে এই বদের মানুষের সাথে বিড়ি টানিস। তোর বিড়ি খাওয়া ছুটাইতেছি।
মহিলা ভূতের চিৎকারে আমার কানে তালা লেগে যাওয়ার যোগার। অস্ফুটস্বরে বললাম- "শিষ্টাচার হ্যাঁ শিষ্টাচার। "
আমার কথা শুনে লিকলিকে ভূতের চোয়াল ঝুলে গেল। ওর মায়ের দিকে রাগ এবং অভিমানি দৃষ্টিতে তাকালো। যেন বলতে চাইছে- "দিলা তো ইজ্জতের চল্লিশা কইরা।"
- আইজ তোর বাপে আসুক তোরে মহিলা হোস্টেলের পাশে ঘুরঘুর করা ছুটামু। কাইল তোর IELTS পরীক্ষা আর তুই ঘুরঘুর করিস।
- মাম্মি, পড়তে পড়তে মাথা হ্যাং করছে বইলাই তো ঘুরতে বাইর হইছি।
- লন্ডনে কোন ভার্সিটিতে যদি চাঞ্চ না পাইস তোরে রিক্সা কিন্না দিমু।
মা ছেলের কথা শুনে পুরো তাজ্জব হয়ে যাচ্ছি। কি বলছে এরা। ভূতরা কি পড়ালেখা করে। তাও আবার লন্ডনে পড়তে যাওয়ার জন্য IELTS ও দেয়। কি বলে এইসব। পুরাই ভূতুরে বেপার সেপার। মনে মনে চিন্তা করেও কোন উত্তর খুঁজে পেলাম না।
মহিলা ভূত আমার দিকে ফিরে বলল- "তোমাদের পৃথিবীর মানুষ যা যা করো আমরা ভূতরাও তাই তাই করি।" তারপরে ছেলের কান ধরে নিজের কাছে এনে আবার বলা শুরু করলো, "তুমি মনে মনে যাই ভাবোনা কেন আমরা ভুতেরা সব শুনতে পাই। এতো অবাক হওয়ার কিছু নাই। চাইলে আরো অনেক কিছু বলতে পারতাম তোমায় আমাদের সম্পর্কে। কিন্তু জানার অধিকার তোমার নাই। নিজের রাস্তা মাপো।"
এই বলে ছেলের কান ধরে টানতে টানতে ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছে। কিছুদূর যাওয়ার পরে লিকলিকে ভূতটা ওর মায়ের হাতে ঝাটকা দিয়ে আমার দিকে দৌড়ে এলো।
- ভাইজান যাইগা। বিদায় নেওয়া হয় নাই।
- হারামজাদা দিলিতো দেরি করাইয়া। আইজ বাসায় ঢুকতে পারুম কিনা কি জানি।
- ভাইজান এইটা রাখেন।
দেখি ভূত আমার দিকে একটা কালো ক্যাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। হাতে নিয়ে একটু নেড়েচেড়ে দেখলাম। খুবই সাধারণ ক্যাপ। আহামরি কিছুই না। ক্যাপ থেকে চোখ সরিয়ে মাথা উচু করে সামনে তাকাতেই দেখি ভূত বা ভূতের মা কেউ নেই। রাস্তাও বদলে গেছে।
একটা মুহুর্ত সময় লাগলো বুঝতে নিজের বাসার নিচেই দাঁড়িয়ে আছি। দাড়োয়ান ডাক দিলো, "স্যার ভিতরে আসেন। দরজা লাগাবো।"
হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ১১টা বেজে কুড়ি। হাতে কালো ক্যাপ। পৃথিবীটা হঠাৎ দুলে উঠলো।




 By: শাকিল রনি
Facebook : শাকিল রনি





আমরা লেখক -G_Fahim- | Give your writings to this page. This is our official facebook page

Sunday 3 May 2015

হিংসা

""" হিংসা """"
হিংসা জিনিস টা সব মানুষের মধ্যেই থাকে ..তবে মানুষ ভেদে কম বেশী হয়ে থাকে ..তবে হিংসা টা মানুষের একটি সুপ্ত গুণ ...তাই সহজে বুঝা যায়না কার মধ্যে হিংসার পরিমানটা কতটুকু ...তবে কিছু মানুষের মদ্যে এই হিংসাটা খুব বেশী পরিমানে থাকে ..তারা নিজকে ছাড়া অন্য কাউকে দেখতেই পারে না ..মোট কথা অন্যের সুখ দেখলে অদের এক ধরনের বিশেষ রোগ হয় ...এসব মানুষ কে আমার খুব সহজেই চিনে ফেলতে পারি ভালো মতো চোখ কান খোলা রাখলে ..তবে এমন অনেক আছে যাদের তুমি প্রকিত. অর্থে চিনতে পারোনা যারা ভিতরে ভিতরে তোমার সব কাজে হিংসার চোখ দিয়ে দেখে এবং সুযোগ খুজতে থাকে তোমার খতি করার ..


by:  গন্তব্যহীন লেখক
Facebook :গন্তব্যহীন লেখক 



Saturday 2 May 2015

॥অবিস্মৃত স্মৃতি ॥

॥অবিস্মৃত স্মৃতি ॥
- - -
মেয়েটা আমার প্রতিটি স্ট্যাটাসেই
লাইক দিত , যদিও সে আমার
ফ্রেন্ডলিস্টে ছিল না ।
প্রতিদিন পোস্ট দিয়ে আমি অধীর
আগ্রহে অপেক্ষা করতাম , কখন মেয়েটা
লাইক দিবে . . . .।
কখনো লাইক দিতে দেরী হলে কেমন
অস্থির লাগতো । ইচ্ছে করতো তাকে
গিয়ে বলি , "লাইক দিতে এত দেরী
করছো কেন ? আমি যে কতটা
অস্থিরতার মধ্যে আছি সেটা দেখতে
পাচ্ছ না ? "
কিন্তু বলতে পারতাম না , ইগোতে
বাধতো । কতবার যে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট
পাঠাতে চেয়েছি তাকে . . .
পারিনি । অদৃশ্য এক বাধায় বারবার
থেমে যেতে হয়েছে ।
আসলে ঐ বিশেষ লাইকটা আমার
কাছে নিছক কোন লাইক ছিল না ।
বলতে কোন দ্বিধা নেই যে , আমার
টুকটাক লেখালেখির ক্ষেত্রে ঐ একটা
লাইকই সবচেয়ে বেশী উত্সাহিত
করতো । লেখালেখি বলতে কবিতা
লেখার চেষ্টা করতাম আরকি । যদিও খুব
একটা ভাল লিখতাম না ।
মাঝেমাঝে খুব অবাক হতাম । চিনি
না , জানি না এমন একটা মেয়ের প্রতি
আমার অদ্ভুত এই ইমোশন দেখে ।
ছোট বেলা থেকেই আমার একটা
সমস্যা আছে । গায়ে বৃষ্টির ফোঁটা
পড়লেই হলো . . . সর্দি , কাঁশি , জ্বর
সবাই একসাথে চেপে ধরতো আমাকে ।
যেন আমি ওদের বাপ-দাদার খুনী ! তাই
সুযোগ পেয়ে আমার উপর প্রতিশোধ
নিচ্ছে ! !
কিন্তু বর্ষার প্রথম বৃষ্টি বলে কথা . . .
এটাতো মিস দেয়া যায় না ।
যথারীতি ছাদে গিয়ে ইচ্ছামত
ভিজলাম । আর ওরা তিন ভাইও( সর্দি ,
কাঁশি , জ্বর ) সুযোগ পেয়ে যথারীতি
চেপে ধরলো আমাকে ।
সে-কি জ্বর ! প্রচন্ড জ্বর . . . . ।
টানা দশ দিন হাসপাতালে থাকতে
হয়েছিল । ওজন কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে
গিয়েছিল । আমার মায়ের
মোটাতাজা ছেলেটা শুকিয়ে এমন
কাঠ হয়ে যাবে , মা এটা কিছুতেই
মানতে পারছিলেন না । খুব
কেঁদেছিলেন . . . মায়ের কান্না
দেখে সেদিন আমিও কেঁদেছিলাম ।
আমার মা কাঁদছিলেন , কারন তাঁর
ছেলে অসুস্থ । আর আমি কাঁদছিলাম ,
কারন আমায় মা কাঁদছিলেন ।
ঐ দশ দিনে আমি অনেক কিছুই মিস
করেছি । কলেজ , বন্ধু-বান্ধব , ক্রিকেট ,
ফেসবুক . . . অনেক আরো অনেক কিছু ।
তবে যে জিনিটা সবচেয়ে বেশী মিস
করেছি সেটা হল "একটি লাইক" ।
দীর্ঘ দশ দিন পর ফেসবুকে এসে কিছুটা
অবাক হলাম ।
সেই "লাইকওয়ালী" আমাকে এই প্রথম
বারের মত ম্যাসেজ পাঠিয়েছে । তাও
একটা দুইটা না । ১৫টা ম্যাসেজ !
আমি একটা একটা করে ম্যাসেজ
পড়ছিলাম আর কেমন যেন ঘোরের মধ্যে
তলিয়ে যাচ্ছিলাম ।
" ঠিক আছে আমি জীবনেও আর আপনার
সামনে এসে দাঁড়াব না , Good Bye"
"আপনি কি আমাকে এতটাই ঘৃনা
করেন ?"
"এতগুলো ম্যাসেজ পাঠালাম একটা
ম্যাসেজেরও জবাব দিলেন না !"
সবগুলো ম্যাসেজ পড়ার পর বুঝতে
পারলাম আমি তাকে যতটা মিস
করেছি সে তার চেয়ে কয়েকগুন বেশী
মিস করেছে আমাকে । সাথে সাথেই
নক করলাম , সাথে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্টও
দিলাম ।
একদিন , দুইদিন , তিনদিন . . . এভাবে এক
সপ্তাহ কেটে গেল । তার কোন খবর নেই
। এই সাত দিনে অনেকগুলো ম্যাসেজ
পাঠিয়েছি তাকে , কিন্তু তার কোন
জবাব পেলাম না ।
প্রতিদিন কয়েকবার করে তার
টাইমলাইন চেক করতাম , আর প্রতিবারই
হতাশ হতাম । ফেসবুকে তার সাথে
পরিচয় ছিল এমন অনেকের সাথেই কথা
বলেছি । কিন্তু কেউই তার বিষয়ে
কোন তথ্য দিতে পারেনি । তার আইডি
ঘেটেও তেমন কিছু পাওয়া গেল না ।
আচ্ছা মেয়েটা কি আমাকে
ভালবেসে ফেলেছিল ? তাহলে সে
এমন করলো কেন ? আচ্ছা সে কি কোন
দুর্ঘটনায় পড়েছে ? সে কি অসুস্থ ? সে
কি বেঁচে আছে . . . ? ?
না , আর ভাবতে পারছি না ।
মানুষ বদলায় । বেঁচে থাকার তাগিদেই
বদলায় । আমিও বাঁচতে চাই ।
পড়াশোনাটা ঠিকমত করতে হবে ।
এভাবে সারাক্ষন একটা মৃত আইডি
নিয়ে পড়ে থাকলেতো চলবে না ।
কোথাকার কোন এক মেয়ে . . .
"এলোকেশী নন্দিনী" না কি যেন
নাম ! তাকে নিয়ে এভাবে দিন-রাত
পড়ে থাকার কি আছে ? আমিতো
তাকে কখনো দেখিই নি !
- - -

ঐ ঘটনার পর আজ প্রায় দু'বছর হতে চলল ।
এখন তাকে আমি পুরোপুরি ভুলে গেছি
। তবে মাঝেমাঝে তার প্রোপিকের
পুতুলটার সাথে চুপিচুপি কথা বলি ,
তার গায়ে হাত বুলিয়ে দিই । তেমন
কিছু না , জাস্ট সময় কাটানো আরকি !
আমি সত্যিই নন্দিনীকে ভুলে গেছি !
তার কথা আমার আর মনেই পড়ে না ! !
তবে প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে তার
দেয়া ম্যসেজগুলো একবার করে পড়ি ।
তেমন কিছু না , জাস্ট সময় কাটানো আর
কি !
একটা বিষয় কি . . . নন্দিনীর ঐ
ম্যাসেজগুলোর অদ্ভুত এক শক্তি আছে ।
যখনই ঐ ম্যাসেজগুলো পড়া শুরু করি তখনই
মোবাইল স্কিনটা ভিজে যায় । আজব
ব্যাপার !
- -
লেখা - FA Tarek
Facebook ID : FA Tarek



Ad your website! Only 20tk/month!

Ad your website! Only 20tk/month!
Only 20tk/month. Call: +8801986761741

please comment about the blog

Please subcribe us on Youtube! Just click on youtube below :

Ad your website!! only 20tk/month!!

Ad your website!! only 20tk/month!!
only 20tk/month. call +8801986761741

Go to আমরা লেখক on Facebook

Go to our our other pages

Moja মজা -G_Fahim- | Promote Your Page Too


Android Tips and Tricks -G_Fahim- | Promote Your Page Too

Ad your page here! Only 20tk/month!!

Ad your page here! Only 20tk/month!!
Only 20tk/month!! Call +8801986761741