আপনাকে "আমরা লেখক" এ স্বাগতম <**> এই সাইটে প্রবেশ করার জন্য ধন্যবাদ <**> আপনার পছন্দের লেখাটি পড়তে নিচের category থেকে বেছে নিন। <**> টাকা উপার্জন করার জন্য বাম পাশের কলাম দেখুন। <<****>>

Advertise your website/facebook page here! <**> only 20tk/week! <**> call 01986761741 !<**> Only for Bangladesh now! The place for add is given below! scroll down the page and find your advertise!! :-D only for 20 tk!!!

Wednesday 8 July 2015

শবে কদর এর পরিচয়


আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
সুপ্রিয় ভাই ও বোন,
দেখতে দেখতে মাহে রামাযান আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। আমরা এসে পৌঁছেছি শেষ দশকে। সৌভাগ্যবান লোকেরা এ মাসে আঁচল ভরে পাথেয় সংগ্রহ করছে আর হতভাগারা এখনো অন্ধকারের অলি-গলিতে উদ্ভ্রান্তের মত ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু কল্যাণের বারি বর্ষণ এখনো শেষ হয়ে যায় নি। বন্ধ হয়ে যায় নি তাওবার দরজা বরং আরও বশি সুযোগ নিয়ে মাহে রামাযানের শেষ দশক আমাদের মাঝে সমাগত। আজকের এই পোস্টে দেখব আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য এতে কী উপহার সাজিয়ে রেখেছেন এবং আমরা কীভাবে তা সংগ্রহ করতে পারব।


১) রামাযানের শেষ দশকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্ত্রী-পরিবার সহ সারা রাত জেগে ইবাদত করতেন:
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন:
إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ شَدَّ مِئْزَرَهُ ، وَأَحْيَا لَيْلَهُ ، وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ
রামাযানের শেষ দশক প্রবেশ করলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোমর বেঁধে নিতেন, নিজে সারা রাত জাগতেন এবং পরিবারকেও জাগাতেন।”
 কোমর বাঁধার অর্থ হল: পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে চেষ্টা-সাধনায় লিপ্ত হওয়া। কোন কোন আলেম এর ব্যাখ্যায় বলেন: স্ত্রী সহবাস থেকে দূরে থাকা।

২) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রামাযানে শেষ দশকে যত বেশি পরিশ্রম করতেন অন্য কখনো করতেন না:
আয়েশা (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন:
كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَجْتَهِدُ فِى الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مَا لاَ يَجْتَهِدُ فِى غَيْرِهِ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রামাযানের শেষ দশকে (ইবাদত-বন্দেগীতে) যে পরিমাণ পরিশ্রম করতেন অন্য কখনো করতেন না।”

শবে কদর

১) শবে কদরে কুরআন অবর্তীণ হয়েছে: আল্লাহ তায়ালা বলেন:
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
আমি একে (কুরআন) অবর্তীণ করেছি শবে কদরে।” (সূরা কাদর: ১)

২) শবে কদর এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম:
আল্লাহ বলেন:
 لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
“শবে কদর এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।” (সূরা কাদর: ৩)

৩) আল্লাহ তায়ালা শবে কদরকে বরকতময় রাত বলে উল্লেখ করেছেন:
আল্লাহ তায়ালা বলেন:
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُّبَارَكَةٍ
নিশ্চয় আমি ইহা (কুরআন)কে অবর্তীণ করেছি একটি বরকতময় রাতে।” (সূরা দুখান: ৩) (আর এ রাত হল শবে কদর।)


৪) শবে কদরে রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগী করলে পূর্বের সকল ছোট গুনাহ মোচন হয়ে যায়:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
مَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
“যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সোয়াবের আশায় শবে কদরে রাত জাগরণ করে নফল নামায ও ইবাদত বন্দেগী করবে তার পূর্বের সকল (ছোট) গুনাহ মোচন করে দেয়া হবে।”

শবে কদর কখন হবে?

শবে কদর হবে রামাযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে:
ক) আয়েশা (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
« تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِى الْوِتْرِ مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ »
তোমরা রামাযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধান কর।”

খ) আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
« أُرِيتُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ ثُمَّ أَيْقَظَنِى بَعْضُ أَهْلِى فَنُسِّيتُهَا فَالْتَمِسُوهَا فِى الْعَشْرِ الْغَوَابِرِ
স্বপ্নে আমাকে লাইলাতুল ক্বদ্‌র দেখানো হল। কিন্তু আমার এক স্ত্রী আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেয়ায় আমি তা ভুলে গিয়েছি। অতএব, তোমরা তা রামাযানের শেষ দশকে অনুসন্ধান কর।”
 কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে, দু ব্যক্তির বিবাদের কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা ভুলে গেছেন।


গ) শবে কদর কি শুধু রামাযানের সাতাইশ রাতের জন্য নির্দিষ্ট?
আমাদের দেশে সাধারণত: মানুষ শুধু রামাযানের সাতাইশ তারিখে রাত জেগে ইবাদত বন্দেগী করে এবং ধারণা করে এ রাতেই শবে কদর অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এ ধারণা, সুন্নতের সাথে সঙ্গতীপূর্ণ নয়। কারণ, আয়েশা (রা:) হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
« تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِى الْوِتْرِ مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ
তোমরা রামাযানের শেষ দশকের বেজোড় রাত্রিগুলোতে লাইলাতুল ক্বদর অনুসন্ধান কর।”


হযরত আবু সালমা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, একবার আমি হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) এর কাছে গিয়ে বললাম, আমরা চলুন খেজুর বাগানে গিয়ে হযরত নবী পাক (সাঃ) এর হাদীস আলোচনা করি। অত’পর তিনি চললেন, আমি তাকে বললাম আপনি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হতে লাইলাতুল ক্বদর সম্পর্কে যা শুনেছেন সে সম্পর্কে আমাকে কিছু বলুন। তখন তিনি বললেন একবার রাসুলুল্লাহ (সাঃ) রমযানের প্রথম দশ দিনের এতেকাফ করলেন আমরাও তার সাথে এতেকাফ করলাম। হযরত জিব্রাঈল (আ:) উপস্হিত হয়ে বললেন, আপনি যে নেয়ামতের উদ্দেশ্যে এতেকাফ করছেন তা আরো সম্মুখে তাই হযরত রাসূল পাক (সাঃ) রমজানের মধ্যবর্তী দশদিনও এতেকাফ করলেন। আমরাও তার সাথে এতেকাফ করলাম। এবারও হযরত জিব্রাঈল (আ:) রাসূল পাক(সাঃ)এর দরবারে উপস্হিত হয়ে বললেন আপনি যে নেয়ামতের জন্য এতেকাফ করছেন তা আরো সম্মুখে । তাই হুযুর পাক (সাঃ) রমজানের বিশ তারিখ সকাল বেলায আমাদেরকে উদ্দেশ্যে করে বললেন, তোমাদের মধ্যে যারা আমার সাথে এতেকাফে ছিলে তারা আরো কিছু দিন আমার সাথে এতেকাফ রত অবস্হায় থাকবে। কারণ লাইলাতুল ক্বদর রমজানের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাত্রিসমুহের মধ্যে হবে। আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে তা নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন কিন্তু আমি তা ভুলে গিয়েছি। স্বপ্নের কথা আমার এতটুকু মনে আছে, আমি যেন লাইলাতুল ক্বদরের সকাল বেলায় কাদার উপর সেজদা করছি। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বললেন, ঐ দিনটি আকাশ খুব পরিস্কার ছিল।কোন প্রকারের বৃষ্টি বাদলের চিহ দেখা যাচ্ছিল না কিন্তু হঠাত আকাশে মেঘ দেখা গেল এবং রমজানের একুশ তারিখ সারারাত বৃষ্টিপাত হল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)এর মসজিদে খেজুর পাতার চাল ছিল। তার সালাতের স্হানে পানি পড়ে ভিজে গেল। তিনি ফযরের সালাত আদায় করলেন এবং আমরা প্রত্যক্ষ ভাবে দেখলাম তার কপালে ও নাকের উপর স্পষ্ট কাদা লেগে রয়েছে। যাতে হযরত নবী পাক (সাঃ) এর স্বপ্নের সত্যতা প্রমাণিত হল।


ঘ) তবে শেষ সাত দিনের বেজড় রাতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি:

যেমন, নিম্নোক্ত হাদীসটি:

 ابْنِ عُمَرَ – رضى الله عنهما – أَنَّ رِجَالاً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِىِّ – صلى الله عليه وسلم – أُرُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِى الْمَنَامِ فِى السَّبْعِ الأَوَاخِرِ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ – صلى الله عليه وسلم – « أَرَى رُؤْيَاكُمْ قَدْ تَوَاطَأَتْ فِى السَّبْعِ الأَوَاخِرِ ، فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيَهَا فَلْيَتَحَرَّهَا فِى السَّبْعِ الأَوَاخِرِ »

ইবনে উমর (রা:) হতে বর্ণিত যে, কয়েকজন সাহাবী রামা যানের শেষ সাত রাত্রিতে স্বপ্ন মারফত শবে কদর হতে দেখেছেন।  সাহাবীদের এ স্বপ্নের কথা জানতে পেরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আমি দেখছি তোমাদের স্বপ্নগুলো মিলে যাচ্ছে শেষ সাত রাত্রিতে। অত:এব কেউ চাইলে শেষ সাত রাত্রিতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করতে পারে।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম) এ মর্মে আরও হাদীস রয়েছে।

কোন কোন সালাফে-সালেহীন সাতাইশ রাত শবে কদর হওয়ার অধিক সম্ভাবনাময় বলে উল্লেখ করেছেন। সাহাবীগণের মধ্যে ইবনে আব্বাস (রা:), মুআবিয়া, উবাই ইবনে কাব (রা:) এর মতামত থেকে এটাই বুঝা যায়।

কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এভাবে নির্দিষ্টকরে লাইলাতুল কদর হওয়ার কোন হাদীস নাই। তাই উপরোক্ত সাহবীদের কথার উপর ভিত্তি করে বড় জোর সাতাইশে রাতে শবে কদর হওয়াকে অধিক সম্ভাবনাময় বলা যেতে পারে। নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। সঠিক কথা হল, শবে কদর কখনো ২১, কখনো ২৩, কখনো ২৫, কখনো ২৭ আবার কখনো ২৯ রাতে হতে পারে।




ঙ) শবে কদরের বিশেষ দুয়া:

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি যদি জানতে পারি যে, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর তাহলে তখন কোন দুয়াটি পাঠ করব? তিনি বললেন, তুমি বল:

اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّى
হে আল্লাহ, আপনি মহানুভব ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করা পছন্দ করেন। অত:এব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।” (তিরমিযী, অনুচ্ছেদ, কোন দুয়াটি শ্রেষ্ঠ। তিনি বলেন: হাদীসটি হাসান, সহীহ)।


No comments:

Post a Comment

Ad your website! Only 20tk/month!

Ad your website! Only 20tk/month!
Only 20tk/month. Call: +8801986761741

please comment about the blog

Please subcribe us on Youtube! Just click on youtube below :

Ad your website!! only 20tk/month!!

Ad your website!! only 20tk/month!!
only 20tk/month. call +8801986761741

Go to আমরা লেখক on Facebook

Go to our our other pages

Moja মজা -G_Fahim- | Promote Your Page Too


Android Tips and Tricks -G_Fahim- | Promote Your Page Too

Ad your page here! Only 20tk/month!!

Ad your page here! Only 20tk/month!!
Only 20tk/month!! Call +8801986761741